পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ রোগশয্যায় তাহার পর এক সপ্তাহ অতীত হইয়া গিয়াছে-ইতোমধ্যে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে নাই। অমরেন্দ্ৰনাথ এবং সুরেন্দ্ৰনাথ পূৰ্ব্বাপেক্ষা অনেকটা শান্তভােব ধারণ করিলেন, কেহ কাহারও নিকটে আর সেলিনার নাম, কিম্বা তাহার সম্বন্ধে কোন কথার উত্থাপন করিতেন না। এবং উভয়ে উভয়ের প্রতি সতত একটা সতর্ক দৃষ্টি রাখিয়া চলিতেন । ইতিমধ্যে তদুভয়ের কাহারও সহিত মিস সেলিনার দেখা হয় নাই। যাহাতে কাতার ও সহিত থাসািলনার আর সাক্ষাৎ না হয়, সেলিনার মা তাহার একটা সুবন্দোবস্ত করিয়াছেন। তিনি সেলিনাকে আর বাটীর বাহির চাইতে দিতেন না। জুলেখার পরামর্শ ছাড়া তিনি কোন কাজ করিতেন না-ইতাতেও জুলেখার মন্ত্রণা ছিল। সেলিনার মাতার মাথার ব্যায়রাম ছিল, তাহাতে মধ্যে মধ্যে র্তাহাকে শয্যাগত হইতে হইত। তাহার আহার আর নিদ্রা এই দুইটী ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না ; সুতরাং একটা কিছু রকম না থাকিলে জীবনটা নিতান্ত একঘেয়ে হইয়া পড়ে, এই জন্যই বোধ হয়, বিধাতা তাহার মস্তিষ্কে এইরূপ একটা পীড়ার আরোপ করিয়া রাখিয়াছিলেন। একটু ক্রটিতেই পীড়াটা সজাগ হইয়া উঠিত। সেদিন সুরেন্দ্রনাথের সহিত সেই বান্বিতণ্ডার পর হইতেই পীড়াটা