পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ङ१J সুরেন্দ্রনাথ যখন র্তাহার মাতুল মহাশয়ের নিকট শুনিলেন যে, জুলেখাকে সন্দেহ করিবার কোন কারণ নাই ; কারণ সেদিন সে সন্ধ্যার পর বাহির হয় নাই। তখন তিনি মনে করিলেন, যদি জুলেখা এ কাজ নিজে না করিয়া থাকে, তবে জুলেখা আর বেণ্টউডের পরামর্শে আশানুলা দ্বারাই এ কাজ হইয়াছে। আশানুল্লার নিকট একবার সন্ধান লওয়া ংপ্ৰয়োজন । A সুরেন্দ্ৰনাথ আশানুল্লার সন্ধান করিয়া জানিতে পারিলেন যে, সে একেবারে নিরুদেশ ; কোথায় গিয়াছে, সে সম্বন্ধে গ্রামের কেহ কোন কথা বলিতে পারে না । তখন আশানুল্লাই যে লোভে পড়িয়া দত্ত সাহেবের বাড়ী হইতে স্বর্ণ-মণ্ডিত বিষ-গুপ্তিটা চুরি করিয়াছে, এই কথাটা অতি শীঘ্র গ্রামের মধ্যে বিস্তৃতি লাভ করিল। একদিন অপরাহ্রে দত্ত সাহেবের বাড়ীতে হঠাৎ আশানুল্লা হঁপাইতে হঁপাইতে আসিয়া উপস্থিত। তাহার একান্ত ইচ্ছা, সুরেন্দ্রনাথের সহিত দেখা করিবে। সুরেন্দ্রনাথ আশানুল্লাকে লইয়া বৈঠকখানা ঘরে প্ৰবেশ করিলেন । তখন দত্ত সাহেব গৃহে ছিলেন না। কোন কাজে বাহিরে গিয়া ছিলেন। বাড়ীতে ফিরিয়া রহিমবক্সের মুখে শুনিলেন, আশানুল্লা সুরেন্দ্ৰনাথের সহিত দেখা করিতে আসিয়াছে। এইবার বিষ-গুপ্তির