পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিকা পার্শ্বে একজন কুৎসিতা যুবতী দাড়াইয়া ছিল, সে তাড়াতাড়ি তাহার মূচ্ছিত দেহ নিজের কোলে টানিয়া তুলিয়া লইল । এবং মূচ্ছিতার আপাদমস্তক হস্ত সঞ্চালন করিয়া মৃদুস্বরে কি একটা মন্ত্রপাঠ করিতে লাগিল । অনতিবিলম্বে মূচ্ছিতার মোহ অপনোদন হইল। সে ধীরে ধীরে নিদ্রোথিতের ন্যায় উঠিয়া বসিল। এবং বিস্মিত দৃষ্টিতে চারিদিকে চাহিতে চাঙ্গিতে কহিল, “জুলেখা, আমি কোথায় ?” জুলেখা পার্শ্ববৰ্ত্তিনীর নাম। জুলেখা বলিল, “কেন, তোমাদের জাহিরায় । সেলিনা, আমন করিয়া চারিদিকে চাহিতেছ। কেন, তোমার কি ভয় করিতেছে ? এই যে আমি রহিয়াছি, ভয় কি ?” সেলিনা জুলেখার মুখের দিকে চকিতনেত্রে একবার চাহিল। তাহার পর বলিল, “আমার এখানে বড় ভয় করিতেছে ; চল, বাড়ীর ভিতরে যাই ।” “চল যাইতেছি,” বলিয়া জুলেখা সেলিনাকে ধরিয়া তুলিল। সেলিনা কহিল, “আমার সর্বাঙ্গ অবশ হইয়াছে ; চলিব কি-উঠিয়া দাড়াইতে পা কঁাপিতেছে।” জুলেখা বলিল, “যাহাতে জোর পাও, তাহা করিতেছি।” পুনরায় জুলেখা, সেলিনার পা হইতে মাথা পৰ্য্যন্ত মন্ত্রপাঠের সহিত কস্ত সঞ্চালন করিতে লাগিল । এবং এক একবার তাহার কপালে নিজ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের চাপ দিতে লাগিল। তাহার পর জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন, এখন বেশ সুস্থ হইয়াছ ?” সেলিন বলিল, “হা, এখন আর আমাকে ধরিতে হইবে না-আমি নিজেই বেশ যাইতে পারিব।” জুলেখা বলিল, “তবে চল।”