পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুন-পথিমধ্যে ത്ത =q তাহার শ্বাস রুদ্ধ হইল, বুকের ভিতরে তপ্ত রক্ত ফুটিতে লাগিল— এবং ংজ্ঞা বিলুপ্ত হইবার উপক্রম হইল। কি সৰ্ব্বনাশ ! সে মৃতদেহ যে তঁহারই প্রিয়তম সুরেন্দ্রনাথের । প্ৰথমে নিজের চক্ষুকে কিছুতেই বিশ্বাস করিতে দত্ত সাহেবের প্রবৃত্তি হইল না । তাহার। আপাদমস্তক কাপিতে লাগিল । কঁাপিতে কঁাপিতে তিনি সেই শবদেহ বুকে লইয়া বাজাহতের ন্যায়। সেইখানে বসিয়া পড়িলেন। র্তাহার মুখ দিয়া একটা কথা ও বাহির হইল না। এমন সময়ে দ্রুতপদে সেইদিকে রহিমবক্স ছুটিয়া আসিতে লাগিল। অদূরে নিজের প্রভুকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে ! চীৎকার শুনিয়া আমারও ঘুম ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল। হুজুরকে ছুটিয়া আসিতে দেখিয়া আমিও হুজুরের পিছনে পিছনে আসিতেছি ।” দত্ত সাহেব নীরবে ভূপতিত সুরেন্দ্রনাথের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন। মুখে কিছুই বলিলেন না। রহিমবক্স নিকটবৰ্ত্তী হইয়া দেখিয়া ভয়ে দুইপাদ পশ্চাতে হটিয়া আসিল । ভীতিবিক্ষুব্ধকণ্ঠে বলিল, “কি মুস্কিল! হা আল্লা, একি করিলে!” দন্তু সাহেব বলিলেন, “রহিমবক্স, খুন-পুন-আমার সুরেনকে কেহ খুন করিয়াছে।” । দত্ত সাহেব এমন বিকৃতস্বরে কথাগুল্লি বলিলেন যে, সে স্বর তাহার নিজের বলিয়া বোধ হইল না । রহিমবক্স কঁাপিতে কঁাপিতে বলিল, “কে এমন দুষ মন-কে এমন

  • 河エta{ー”

দত্ত সাহেব বাধা দিয়া বলিলেন, “জানি না-কেমন করিয়া বলিব, কোন পিশাচ আমার এমন সৰ্ব্বনাশ করিল ? রহিমবক্স, তুমি দুইজন