পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

ও সেই সঙ্গে সঙ্গে অনেক লোক ঐ কার্য্যে দালালরূপে নিযুক্ত হইয়াছে। ঐ কার্য্যের যতগুলি অফিস আছে, প্রত্যেক অফিসের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বিস্তর দালাল আছে। তাহারা প্রত্যেকের বাড়ীতে ঘুরিয়া ঘুরিয়া প্রত্যেককে তাহার জীবন বীমা করাইবার প্রবৃত্তি দিয়া থাকে, ও যাহারা তাহাদিগের কথায় সম্মত হইয়া আপনাপন জীবন বীমা করাইবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাঁহাদিগকে তাহারা তাহাদিগের অফিসে জীবন বীমা করাইয়া দেয়। মনে করুন, আপনি হাজার টাকায় আপনার জীবন বীমা করিতে ইচ্ছা করিয়া দালালকে কহিলেন। দালাল তাহার অফিস হইতে অমনি কয়েক খানি ফরম আনিয়া উপস্থিত করিল, আপনি ঐ ফরমে যে কথা লিখিবার প্রয়োজন তাহা লিবিয়া পাঠাইয়া দিলেন। ইহার পরেই সেই অফিসের নিয়োজিত ডাক্তারের দ্বারা আপনাকে পরীক্ষা করা হইল। ঐ ডাক্তার আপনাকে উত্তমরূপে পরীক্ষা করিয়া আপনার বয়ঃক্রম ও আপনার স্বাস্থ্য প্রভৃতি কিরূপ, তাহা লিখিয়া দিলেন। ঐ ডাক্তারের মতের উপর নির্ভর করিয়া অফিস উহা সাব্যস্ত করিলে, আপনাকে মাসে মাসে বা প্রত্যেক তিন মাস; অন্তর কিছু কিছু টাকা জমা দিতে হইবে। আপনি উহাতে সম্মত হইয়া ঐরূপ স্থিরীকৃত টাকা নিয়মমত জমা দিতে লাগিলেন। আপনি যে সহস্র মুদ্রা পাইবার নিমিত্ত টাকা জমা দিতে লাগিলেন, ঐ সহস্র মুদ্রা পাইবার জন্য দুইটা নিয়ম আছে;— অর্থাৎ আপনি আপনার যে বয়ঃক্রমে উপনীত হইলে ঐ টাকা পাইতে ইচ্ছা করেন, আপনি আপনার সেই বয়সে সেই টাকা পাইতে পারেন, অথবা আপনি আপনার জীবিত অবস্থায় ঐ টাকা গ্রহণ না করিয়া উহা আপনার উত্তরাধিকারীর নিমিত্ত রাখিয়া যাইতে পারেন। আপনি