যদি প্রথম নিয়মের বশীভূত হইয়া টাকা জমা দিতে প্রবৃত্ত হন, তাহা হইলে, আপনি আপনার সেই নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হইলেই ঐ টাকা প্রাপ্ত হইবেন, আর যদি উহার মধ্যেই, এমন কি, এক মাস টাকা জমা দেওয়ার পরেই আপনার পরলোকপ্রাপ্তি হয়, তাহা হইলে আপনার মৃত্যুর পরই আপনার উত্তরাধিকারী ঐ সহস্র মুদ্রা প্রাপ্ত হইবেন। এইরূপ নিয়মে ক্রমে ক্রমে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত যে টাকা জমা দিতে হয়, হিসাব করিয়া দেখিলে, যে সহস্র টাকা প্রাপ্ত হওয়া যাইবে, তাহার সংখ্যা কোনক্রমেই অতিক্রম করে না, অধিকন্তু টাকা জমা দিতে আরম্ভ করিবার পরেই মৃত্যু হইলে উত্তরাধিকারীর বিশেষরূপ লাভ হইয়া থাকে। আর যদি আপনি দ্বিতীয় নিয়মের বশীভূত হইয়া, মাসে মাসে সামান্য অর্থ জমা দেন, তাহা হইলে আপনার লাভ লোকসান আপনার পরমায়ুর উপর নির্ভর করিবে; অর্থাৎ একমাস বা দুইমাস অথবা কিছুদিবস পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার পর যদি আপনার মৃত্যু হয়, তাহা হইলে আপনার মৃত্যুর পরেই আপনার উত্তরাধিকারী ঐ টাকা প্রাপ্ত হইবেন। মাসিক চাঁদা অল্পদিন দিবার পরেই যাহার মৃত্যু হয়, তাহার উত্তরাধিকারীর পক্ষে বিশেষরূপ লাভ হইয়া থাকে। আর যিনি দীর্ঘকাল বঁচিয়া মাসে মাসে বা নিয়মিত রূপে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করিয়া থাকেন, তাহার সমস্ত জীবনে তিনি যে টাকা জমা দেন, সময় সময় তাঁহার প্রাপ্ত টাকা অপেক্ষা চাঁদা জমা দিবার টাকার সংখ্যা অধিক হইয়া যায়। এরূপ অবস্থায় তাঁহার ওয়ারিশনগণ তাহার জমা দেওয়া টাকা অপেক্ষা কম পাইলেও, অর্থ টা একেবারে প্রাপ্ত হয়েন বলিয়া বিশেষ লাভ মনে করিয়া থাকেন। কারণ সেই সময় যত গুলি টাকা
পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।
১৩