পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারােগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

একেবারে প্রাপ্ত হওয়া যায়, এতগুলি টাকা একস্থানে জমা করা অনেকের পক্ষে সহজ হয় না।

 আমি হাজার টাকায় জীবন বীমা রাখার উদাহরণ প্রদান করিলাম। কিন্তু পাঠকগণ মনে করিবেন না যে, হাজার টাকার অধিক জীবন বীমা হয় না, বা এক অফিসে একজনের জীবন বিমা থাকিলে অপর অফিসে তাঁহার জীবন পুনরায় বীমা হয় না। যে কোন ব্যক্তি যত টাকায় ও যত অফিসে আপনার জীবন বীমা করিতে ইচ্ছা করেন, তিনি তত টাকায় ও তত অফিসে ইচ্ছামত আপনার জীবন যে কোন নিয়মে বীমা করিতে পারেন। দেখা গিয়াছে, এই কলিকাতা সহরের মধ্যে অনেকের জীবন হাজার, অনেকের দুই হাজার, অনেকের পাঁচ হাজার, অনেকের দশ হাজার, অনেকের পঁচিশ হাজার, অনেকের পঞ্চাশ হাজার ও অনেকের লক্ষ মুদ্রা পর্যন্ত যে কয় অফিসে ইচ্ছা, সেই কয় অফিসে পৃথক পৃথক রূপে বীমা করা আছে ও তাহারা সেইরূপ পরিমাণে চাদার টাকা কেহ মাসিক, কেহ ত্রৈমাসিক, কেহ ছয় মাস অন্তর ও কেহ বা বৎসর বৎসর জমা দিয়া আসিতেছেন।

 এইরূপ জীবন বীমার কেনা-বেচা ও বন্দক দেওয়ার কারবারও বাজারে চলিয়া থাকে। যদি কোন ব্যক্তির হঠাৎ কিছু টাকার প্রয়োজন হয়, তিনি ইচ্ছা করিলে তাহার সেই জীবন বীমা সেই অফিসে বন্দক রাখিয়া অনায়াসেই কিছু টাকা পাইতে পারেন, কিন্তু ঐ টাকা প্রাপ্ত হইবার একটা নিয়ম আছে অর্থাৎ যে জীবন বীমা তিনি বন্ধক দিতেছেন, তাহার নিমিত্ত এ পর্যন্ত তিনি যত টাকা ঐ অফিসে জমা দিয়াছেন, তাহারই একটা অংশ তিনি কর্জ্জ স্বরূপ পাইতে পারেন, ইহা ব্যতীত ঐ জীবন বীমা বিক্রয়ও হইয়া