পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।
২৭

লইয়া যান, কিন্তু তিনি হরেকৃষ্ণের পীড়িত অবস্থায় তাহাকে দেখেন নাই, ডাক্তার আসিবার সময় বা স্থানান্তরিত করিবার সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। হরেকৃষ্ণ ঐ বাড়ী হইতে স্থানান্তরিত হইবার তিন চারি দিবস পরে ব্রজবন্ধুর নিকট হইতে তিনি জানিতে পারেন যে, হরেকৃষ্ণ মরিয়া গিয়াছে। যে ঘরে হরেকৃষ্ণ বাস করিতেন, সেই ঘরে তাহার অতি সামান্যই জিনিস পত্র ছিল, ঐ সমস্ত জিনিস ঐ বাড়ী ভাড়ার নিমিত্ত আটক করিয়া রাখা হইয়াছে।

 হরেকৃষ্ণের দুইজন ভৃত্য সদা সর্বদা ঐ বাড়ীতে বাস করিত। হরেকৃষ্ণের সঙ্গে সঙ্গে তাহারাও ঐ বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে, তাহার পর উহাদিগকে আর তিনি দেখেন নাই।

 সরকারের নিকট হইতে এই সমস্ত বিষয় অবগত হইয়া ঐ বাড়ী ভাড়া লইবার কালীন হরেকৃষ্ণ যে এগ্রিমেণ্ট লিখিয়া দিয়াছিল, তাহা তাহার নিকট হইতে চাহিয়া লইলাম। দেখিলাম, উহাতে হরেকৃষ্ণের সহি আছে। তাহার জীবন-বীমা ব্রজবন্ধুর নিকট বিক্রয় করিবার কালীন তাহাতে তিনি যে সহি করিয়াছিলেন ও বীমা অফিসের অপরাপর কাগজ পত্রে তাহার যে সকল স্বাক্ষর ছিল, তাহার সহিত উহা মিলাইয়া দেখিলাম। দেখিলাম, উহা এক জনেরই সহি সুতরাং বুঝিতে পারিলাম, যে হরেকৃষ্ণ আপন জীবনবীমা করিয়া পরিশেষে ব্রজবন্ধুর নিকট বিক্রয় করিয়াছিল, সেই হরেকৃষ্ণই জানবাজারের ঐ বাড়ী ভাড়া করিয়া তথায় কয়েক মাস কাল অতিবাহিত করিয়াছিল।

 ইহার পর যে ডাক্তার জানবাজারের বাড়ীতে হরেকৃষ্ণের চিকিৎসা করিয়াছিলেন, তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি ব্রজবন্ধুর একজন পরিচিত ডাক্তার, তাঁহার বাড়ীতে মধ্যে