মধ্যে তিনি চিকিৎসাও করিয়া থাকিন। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হইলাম, ব্রজবন্ধু বাবুই তাহাকে ডাকিয়া জানবাজারের বাড়ীতে লইয়া যায়, সেই স্থানে তিনি হরেকৃষ্ণকে দেখেন ও তাহার ঔষধের ব্যাখাও করিয়া দেন। তিনি তিন বার ঐ বাড়ীতে গমন করিয়াছিলেন। ঐ ব্যক্তিকে তিনি ইতিপূর্বে আরও দুই একবার ব্রজবন্ধুর বাড়ীতে দেথিয়াছেন। উহার নাম তিনি পূর্ব হইতে অবগত ছিলেন না, জানবাজারের বাড়ীতেই তিনি প্রথম উহা নাম অবগত হন। হরেকৃষ্ণ তীরস্থ হইবার ঠিক পূর্বে তিনি তাহাকে দেখেন নাই, উহার দুই এক দিবস পরে ব্রজবন্ধু তাহাকে ডাকিয়া গঙ্গাতীরে লইয়া যান, সেই স্থানে তিনি উপস্থিত হইয়া জানিতে পারেন যে, হরেকৃষ্ণ মরিয়া গিয়াছে, তিনি তাহার মৃতদেহ দর্শন করেন, ও পরিশেষে একখানি সাটিফিকেট লিখিয়া দেন।
ডাক্তার বাবুর নিকট এই সকল কথা অবগত হইয়া তাহাকে বিশেষ করিয়া আরও দুই চারিটী কথা জিজ্ঞাসা করিবার প্রয়োজন হইয়া পড়ে। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি কোন স্থানে গিয়া তাহার মৃতদেহ দর্শন করেন?।
ডাক্তার। কাশীমিত্রের ঘাটে।
আমি। কাশীমিত্রের ঘাটের যে স্থানে মৃতদেহ দাহ হয়, সেই স্থানে গিয়া কি আপনি উহার মৃতদেহ দর্শন করিয়াছিলেন?
ডাক্তার। না।
আমি। তবে কোথায়?
ডাক্তার। কাশী মিত্রের ঘাটের একটু দূরে যে একটা ঘর আছে, সেই ঘরের ভিতর।