জামাতাই বা কোথায় থাকে, তাহার ঠিকানা আপনি কিছু বলিতে পারেন কি?”
আমি। এখন বলিতে পারি, কিন্তু উহার সবিশেষ সন্ধান লইয়া দুই এক দিবসের মধ্যে তাহার সংবাদ আপনাকে প্রদান করিব।
এই বলিয়া জমিদার মহাশয় সে দিবস আমার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিলেন।
দুই দিবস গত হইয়া গেল, জমিদার মহাশয় আমার নিকট না অসায় আমি পুনরায় তাহার বাড়ীতে গিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি আমাকে দেখিয়া কহিলেন যে, এখনও পর্যন্ত তিনি তাহাদিগের ঠিক ঠিকানা জানিতে পারেন নাই, কিন্তু আশা করেন, আর দুই এক দিবসের মধ্যে তিনি সমস্তই জানিতে পারিবেন; তখন তিনি আপনাকে সংবাদ প্রদান করিবেন।
জমিদার মহাশয়ের কথা শুনিয়া আমি সে দিবস সেই স্থান হইতে চলিয়া আসিলাম সত্য, কিন্তু অপর অপর স্থান হইতে ঐ সংবাদ সংগ্রহ করিবার চেষ্টা করিতেও ভুলিলাম না। কিন্তু কৃষ্ণরাম যে এখন কোথায় আছে, তাহার কোন সংবাদ সংগ্রহ করিতে পারিলাম না। তবে এই মাত্র জানিতে পারিলাম যে, কৃষ্ণরাম নামক এক ব্যক্তি ব্রজবন্ধুর নিকট চাকরি করিয়া থাকে, ও জমিদার মহাশয় তাহার অবয়বের যাহা বর্ণন করিয়াছেন, তিনি দেখিতে ঠিক সেইরূপ।
প্রায় এক সপ্তাহ পরে জমিদার মহাশয় জানিতে পারিলেন যে, ব্রজবন্ধুর কোন্ জমিদারীতে কৃষ্ণরাম কর্ম্ম করিয়া থাকেন, ও তাঁহার জামাতাই বা কোথায় কর্ম্ম করেন।