ডায়মণ্ড হারবারের অন্তর্গত সুন্দর বনের মধ্যে বন্ধুর কয়েকটী আবাদ ছিল। উহারই একটী আবাদে কৃষ্ণরাম থাকিতেন। জমিদার মহাশয়ের নিকট হইত এই সংবাদ পাইবামাত্র, কৃষ্ণরামকে চিনে এইরূপ একটী লোক, ঐ জমিদার মহাশয়ের নিকট হইতে লইয়া, ও হরেকৃষ্ণকে দেখিলে চিনিতে পারে, এরূপ একটা লোক বীমা অফিস হইতে লইয়া, আমি সেই আবাদে গমন করিলাম, কিন্তু সহজে সেই অবাদের সন্ধান করিয়া উঠিতে পারিলাম না। উহার সন্ধান করিতেও দুই এক দিবস অতীত হইয়া গেল। ঐ আবাদের সন্ধান পাইলে আমরা সেই স্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম, ও জানিতে পারিলাম, কৃষ্ণরাম এই আবাদের প্রধান কর্মচারী, ও সেই স্থানেই তিনি বাস করিয়া থাকেন। কিন্তু আজ ১০/১৫ দিবস হইল তিনি তাঁহার মনিবের বাড়ীতে গিয়াছেন, আজও পর্যন্ত প্রত্যাগমন করেন নাই। তাহার বাসা ঘরখানি খালি পড়িয়া রহিয়াছে।
এই স্থান হইতে ঐ আবাদে গমন করিবার পূর্বে কৃষ্ণরাম তাঁ হার মনিবের বাড়ীতে আসিয়াছে কি না, তাহার সন্ধান করিয়া ছিলাম ও জানিতে পারিয়াছিলাম যে, তিনি এখানে আসেন নাই। আবাদে গিয়া যাহা জানিতে পারিলাম, তাহাতে মনে দারুণ সন্দেহ উপস্থিত হইল; কারণ কৃষ্ণরামই যদি হরেকৃষ্ণ হন, তাহা হইলে তো ১৫ দিবস পূর্বে তিনি জীবিত ছিলেন। তাহা হইলে যে, হরেকৃষ্ণ মরিয়াছে, সে তো এই হরেকৃষ্ণ বা কৃষ্ণরাম নহে। আরও মনে হইল, বোধ হয় কৃষ্ণরাম জানিতে পারিয়াছে যে, আমরা তাহার কার্য্যকলাপ জানিতে পারিয়াছি, তাই তিনি ঐস্থানে থাকিলে পাছে ধৃত হন, এই ভয়ে ঐ স্থান পরিত্যাগ করিয়া