স্থানে থাকিলে তাহার বিশেষরূপ কষ্ট হইবার সম্ভাবনা, এই ভাবিয়া তাহার জামাতাকে তাহার সঙ্গে দেওয়া হইয়াছে। আপনি যে স্থানে কৃষ্ণরামকে পাইবেন, সেইস্থানেই তাহার জামাতাকেও পাওয়া যাইবে। আপনি সুন্দরবন হইতে প্রত্যাগমন করিবার পূর্বেই আমি জানিতে পারিয়াছি যে, কৃষ্ণরাম তাহার বাসা পরিত্যাগ করিয়া, ও তাহার জামাতাকে সঙ্গে লইয়া পশ্চিমাঞ্চলে পলায়ন করিয়াছে। কিন্তু কোথায় যে গিয়াছে, তাহা জানিতে পারি নাই। তবে এইমাত্র জানিতে পারিয়াছি যে, তাহারা এক স্থানে থাকিবে না, তীর্থে তীর্থে ভ্রমণ করিয়া বেড়াইবে। আরও জানিতে পারিয়াছি যে, তাহারা প্রথমত কোন নিকটবর্তী স্থানে যাইবে না, দূরবর্তী কোন তীর্থ স্থানে কিছু দিবস গুপ্তভাবে অবস্থিতি করিয়া, পরে অন্য স্থানে গমন করিবে। তিনি আরও বলিলেন, তাহাদের পশ্চিমে গমন করিবার অব্যবহিত পূর্বেই আমার একজন পরিচিত লোকের সহিত কৃষ্ণরামের সাক্ষাৎ হয়। তিনি কোন কার্যোপলক্ষে সুন্দরবনে গমন করিয়াছিলেন। প্রত্যাগমন করিবার সময় এক রাত্রি তাহাকে কৃষ্ণরামের বাসায় অতিবাহিত করিতে হয়। ইতিপূর্বে ইনি অনেক তীর্থ স্থান পর্যটন করিয়াছিলেন। কথায় কথায় কৃষ্ণরাম তাহাকে পুষ্কর তাথ, মথুরা, বৃন্দাবন, কাশী, অযোধ্যা, প্রয়াগ ও নৈমিষারণ্যের কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। আরও কথায় কথায়, তাহার নিকট হইতে জানিয়া লইয়াছেন যে, ঐ সকল স্থানে গমন করিলে কিরূপে ও কোথায় থাকিবার সুযোগ হয়। এরূপ অবস্থায় আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে, উপরি উক্ত তীর্থের কোন না কোন স্থানে তিনি গমন করিয়া সেই স্থানে লুক্কায়িত আছেন।
পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।
৪১