মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া কৃষ্ণরামের অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত আমি পশ্চিম অঞ্চলে গমন করিতে মনস্থ করিলাম। আমার সঙ্গে একটা বিশ্বাসী কনষ্টেবল, কৃষ্ণরাম বা হরেকৃষ্ণ ও তাহার জামাতাকে দেখিলে চিনিতে পারে এইরূপ একটা লোক সঙ্গ লইয়া সেই দিবস রাত্রির ট্রেনেই পশ্চিম যাত্রা করিলাম।
নবম পরিচ্ছেদ।
আমরা প্রথমতঃ বৈদ্যনাথে গমন করিলাম। সেই স্থানে দুই তিন দিবস এক পাণ্ডার বাটীতে যাত্রীভাবে অবস্থান করিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু কোথাও কৃষ্ণরাম ও তাহার জামাতার সন্ধান পাইলাম না। অগত্যা সেই স্থান ত্যাগ করিতে বাধ্য হইলাম।
বৈদ্যনাথ হইতে কাশীধামে যাত্রা করিলাম। কাশধাম বাঙ্গালী পাঠকগণের নিকট যেরূপ পরিচিত, তাহাতে ঐ স্থানের বিস্তৃত বিবরণ এই স্থানে বর্ণনা করিবার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই। আমি ঐ স্থানের জনৈক পাণ্ডার সাহায্য গ্রহণ করিয়া বাঙ্গালীটোলা প্রভৃতি যে যে স্থানে বাঙ্গালীগণ বাস করিয়া থাকে, সেই সেই স্থান উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিলাম। দশাশ্বমেধ, মণিকর্ণিকা, কেদারের প্রভৃতি যে সকল ঘটে সকলকেই স্নান করিবার জন্য আসিতে হয়, যে সকল স্থানে সন্ন্যাসী সাধুগণ অবস্থান, কবিয়া থাকেন, বিশ্বনাথ, অন্নপুর্ণা, কালভৈরব প্রভৃতি যে সকল দেবতা