হয়। ঐ স্থানে গমন করিবার পথ পূর্বে যেরূপ দুষ্কর ছিল, এখন সেরূপ নাই। ইংরাজ রাজের অনুকম্পায় ঐ পাহাড়ের উপর দিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া-নামিয়া উঠিয়া এক রাস্তা প্রস্তুত হইয়াছে। ঐ রাস্তা দিয়া এক টাঙ্গা ও ঘোড়ার গাড়ী গমনাগমনের বেশ সুবিধাও হইয়াছে। আজমিরের যে স্থানে একা ও ঘোড়ার গাড়ী প্রভৃতি পুষ্করে যাইবার নিমিত্ত পাওয়া যায়, সেই স্থানে গমন করিয়া একটু অনুসন্ধান করিলাম ও একজন এক্কা-চালকের নিকট হইতে জানিতে পারিলাম যে, কৃষ্ণরামের আকৃতির ন্যায় একটা লোক অপর আর একজনের সহিত তাহার এক্কায় উঠিয়া কিছু দিবস হইল পুস্করে গমন করিয়াছিল, কিন্তু তাহাদিগকে প্রত্যাগমন করিতে আর সে দেখে নাই। যে স্থানে তাহারা তাহার একা হইতে অবতরণ করে, সে তাহাও দেখাইয়া দিতে পারে।
ঐ এক্কা-চালকের নিকট হইতে এই সংবাদ পাইয়া, তাহারই একা ভাড়া করিয়া উহাতে আরোহণ পূর্বক আমরা পুষ্কর তীর্থে উপস্থিত হইলাম। যে স্থানে ঐ এক-চালক পূর্ব্বকথিত লোকদিগকে নামাইয়া দিয়াছিল, আমাদিগকেও সেই স্থানে নামাইয়া দিল। একা হইতে অবতীর্ণ হইবার পূর্বেই, তীর্থ স্থানের নিয়মানুযায়ী অনেক পাণ্ডা আসিয়া আমাদিগকে ঘিরিয়া ফেলিল ও সকলেই আমাদিগের পরিচয় লইতে আরম্ভ করিল। আমি তাহাদিগকে কহিলাম, কিছু দিবস পূর্বে আমার পরিচিত দুই ব্যক্তি এই স্থানে আসিয়াছিলেন, তাহারা এখন এই স্থানে আছেন, কি এই স্থান হইতে চলিয়া গিয়াছেন, তাহা বলিতে পারি না। তাহার এই স্থানে আসিয়া যে পাণ্ডার বাটীতে অবস্থিতি করিয়াছিলেন, আমরাও সেই পাণ্ডার বাড়ীতে অবস্থিতি করিব। এই