পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।
৪৭

পাণ্ডার নিকট হইতে মথুরা, বৃন্দাবন, ও নৈমিষারণ্যের অবস্থা জানিয়া লয়, কিন্তু তাহারা যে কোথায় চলিয়া গিয়াছে, তাহা কেহই বলিতে পারিল না; এমন কি, সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিবার সময় তাহারা পাণ্ডাকেও কোন কথা বলিয়া যায় নাই। হঠাৎ এক রাত্রে সেই স্থান হইতে নিরুদ্দেশ হয়। অনুসন্ধান করিয়া ইহাও জানিতে পারা যায় না যে, তাহারা পুষ্কর হইতে বহির্গত হইয়া পুনরায় অজমীরের দিকে গমন করিয়াছে কি না? কারণ, যে সকল ব্যক্তি তীর্থ বা অপর কোন উপলক্ষে দূরদেশ হইতে পুষ্করে গমন করিয়া থাকেন, তাহাদিগকে আজমীর হইয়া যাইতে হয় ও পুনরায় সেই রাস্তা দিয়া প্রত্যাগমন করিতে হয়। কারণ ঐ রাস্তা ভিন্ন সুবিধাজনক আর রাস্তা নাই। পুষ্কর হইতে তাহাদিগের প্রস্থানের কোনও সংবাদ প্রাপ্ত না হইয়া, উহার নিকটবর্তী স্থান সমুদয় অর্থাৎ যে যে স্থানে সন্ন্যাসী প্রভৃতি মহাত্মাগণ অবস্থান করিয়া থাকেন, সেই সকল স্থানে একবার উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম; কোনও ফল হইল না।

 নিকটেই সাবিত্রী পাহাড়। ঐ পাহাড়ের উপর মন্দির মধ্যে সাবিত্রী দেবীর মূর্তি স্থাপিত আছে। ঐ পর্বতারোহণ করিয়া সেই স্থানে উহাদিগের অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু কোনরূপ সন্ধান পাইলাম না।

 ঐ সাবিত্রী পর্বতের সন্নিকটে গৌতম আশ্রম ও তাহার নিকটবর্তী গঙ্গাকুণ্ড, নাগকুণ্ড, সূর্যকুণ্ড প্রভৃতি স্থান সকলে তাহাদিগের অনুসন্ধান করিলাম, সমস্তই বৃথা হইল। ঐ সমস্ত স্থান হইতে বহির্গত হইয়া জমদগ্নি আশ্রম, বামদেব আশ্রম, অগস্ত্য অশ্রম, দধিচি অশ্রম, লোমশ আশ্রম, প্রভৃতি স্থান সকল দেখিলাম!