পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
দারােগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

ঐ সকল পুরাতন আশ্রম গিরিগুহার মধ্যে স্থাপিত। ঐ সকল স্থান দেখিলে বোধ হয়, অতি অল্প দিবস পূর্বে ঐ সকল গুহা মহাত্মাদিগের আশ্রমরূপে পরিগণিত ছিল।

 সাবিত্রী পাহাড়ের কিয়দ্দুর দক্ষিণে অজগধেশ্বর মহাদেবের মন্দির। উত্তরে বৈজনাথ মহাদেব। পশ্চিমে নন্দকেশৱ মহাদেব। এই সকল স্থানও উত্তমরূপে দেখিলাম, নিকটবর্তী নন্দিগ্রাম গকুল প্রভৃতি স্থানেও অনুসন্ধান করিলাম। পাপমোচিনি পাহাড়ের উপর উঠিয়াও তাহাদিগের অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু কোন স্থানেই তাহাদিগের কোনরূপ সন্ধান পাইলাম না।

 পুষ্কর গ্রামের মধ্যবর্তী বাদশা আরঙ্গজেবের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের নিকটবর্তী স্থান সকল, গোয়ালিয়র রাজের প্রতিষ্ঠিত ব্রহ্মা মন্দিরের নিকটবর্তী স্থান সকল, বরাহমূর্ত্তি মন্দির ও বদরিনারায়ণ মন্দির প্রভৃতি অপরাপর দেবালয় সকলের সন্নিকটবর্তী প্রদেশ সকলও তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু কোন স্থানে তাহাদিগের সন্ধান না পাইয়া ক্ষুন্নমনে আপন স্থানে প্রত্যাবর্তন করিলাম।

 ঐ স্থানে আর অধিক কাল বিলম্ব করা নিষ্প্রয়োজন মনে করিয়া, সেইস্থান হইতে বহির্গত হইলাম ও ক্রমে মথুরা ও বৃন্দাবনে গমন করিলাম। ঐ সকল স্থানে আমরা সাধ্যমত অনুসন্ধান করিলাম সত্য, কিন্তু কোনরূপ সন্ধান প্রাপ্ত হইলাম না। ইহার পর গমন করিলাম নৈমিষারণ্যে। শাণ্ডিল ষ্টেশনে অবতরণ করিয়া, শকটজানে দুর্গম রাস্তা অহিবাহিত করিয়া, সেইস্থানে গমন করিতে হয়। এইস্থানে চক্রপাণী তীর্থ স্থাপিত আছে। কথিত আছে, জগতের সমস্ত ঋষির একত্র সমাগম হইয়া যে সময় এর