পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।

সাক্ষাৎ করিবার আমার প্রয়ােজন হইল। কিন্তু তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইবার পূর্বেই আমার মনে হইল যে, ব্রজবন্ধু যখন ঐ টাকা পাইবার নিমিত্ত যে সকল প্রমাণ প্রয়োগের প্রয়োজন, তাহার সমস্তই প্রদান করিয়াছে, এবং যখন বীমা অফিসও ঐ টাকা প্রদান করিতে প্রস্তুত ছিলেন বলিতেছেন, তখন ইহা যে জুয়াচুরি ঘটনা, তাহা এখন তারা কিরূপ জানিতে পারিলেন। অনেকে বলিয়া থাকেন যে, যখন বীমা অফিসকে একেবারে অনেক টাকা প্রদান করিতে হয়, সেই সময় কিছু না কিছু গােলযোগ বাহির করিয়া যাহাতে ঐ টাকা প্রদান করিতে না হয়, তাহার চেষ্টা করিতে তাহারা ত্রুটী করেন না। দশ হাজার টাকা নিতান্ত কম নহে। এ দেশের কয়জন ব্যক্তি তাহার সারা জীবন উপার্জন করিয়া চরমে দশ হাজার টাকার সংস্থান রাখিয়া যাইতে পারেন! সহস্রের মধ্যে এক ব্যক্তি পাবেন কি না সন্দেহ। 'এত গুলি টাকা একজন দেশীয় লোক সহজে পাইতে বসিয়াছে বলিয়া ত, বিমা কোম্পানি তাহাকে ঐ অর্থ হইতে বঞ্চিত করিবার জন্য আমাদিগের সাহায্য গ্রহণ করিতেছেন না? মনে মনে এইরূপ ভাবেরও একবার উদয় হইয়াছিল, কিন্তু মনের সে ভাব কাহারও নিকট প্রকাশ না করিয়া, আপন মনে রাখিয়াই ঐ অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইলাম, ও পরিশেষে দেখিলাম, আমার মনে যে ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহা সম্পূর্ণরূপে ভ্রমাত্মক। পাঠকগণও তাহার প্রমাণ কমে প্রাপ্ত হইবেন।

 আমি পূর্ব্বকথিত বিমা অফিসের প্রধান ইংরাজ-কর্ম্মচারীর সহিত সাক্ষাৎ করিলাম, ও তাহাকে তাহার লিখিত পত্রখানিও দেখাইলাম। তিনি পত্র দেখিয়া ও আমার কথা শুনিয়া বুঝিতে