পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা ।

পারিলেন যে, তাঁহার প্রার্থনামত পুলিসের প্রধান সাহেব আমাকেই তাঁহার প্রস্তাবিত বিষয়ের অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত প্রেরণ করিয়াছেন। তখন তিনি আমাকে সঙ্গে করিয়া তাঁহার অফিসের একটা নির্জ্জন প্রকোষ্ঠে, প্রবেশ করিলেন, ও ঐ বিষয় সম্বন্ধে যাহা কিছু তাহার বক্তব্য ছিল, তাহার সমস্তই আমাকে কহিলেন। আমি তাঁহার নিকট হইতে সমস্ত অবস্থা উত্তমরূপে অবগত হইয়া, পরিশেষে ঐসম্বন্ধে যে সকল কাগজ পত্র ছিল, তাহা তাহার নিকট হইতে চাহিলাম। সাহেবও সমস্ত কাগজ আনিয়া আমার হস্তে প্রদান করিলেন। আমি সেই স্থানে বসিয়াই ঐ সমস্ত কাগজ এক একখানি করিয়া পড়িয়া দেখিলাম, ও উহার মর্ম্ম উত্তমরূপে অবগত হইলাম। ঐ সমস্ত কাগজ বা তাহার মর্ম্ম কি, তাহারও পরিচয় আমি পাঠকগণকে বিস্তারিতরূপে পরে প্রদান করিব।

 ঐ সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়া সমস্ত বিষয় অবগত হইলাম সত্য, কিন্তু ব্রজবন্ধু জুয়াচুরি করিয়া ঐ টাকা বাহির করিয়া লইবার চেষ্টা করিতেছে, তাহার কোনরূপ নিদর্শন ঐ সকল কাগজ-পত্র হইতে কিছুমাত্র প্রাপ্ত হইলাম না।

 তখন আমি সাহেবকে কহিলাম, “আপনি আমাকে যে সকল কাগজপত্র প্রদান করিলেন, তাহা দেখিয়া বেশ অনুমান হইতেছে যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি কাণ্ড নাই। কিন্তু ইহা জুয়াচুরি বলিয়া আপনার বিশ্বাস হইল কি প্রকারে?”

 আমার কথা শুনিয়া, সেই বীমা অফিসের বড় সাহেব আমার হস্তে আর একখানি পত্র প্রদান করিলেন।

-----