আমি ব্রজবন্ধুর নিকট পরিচিত বলিয়া আমার নাম এই পত্রে প্রকাশ করিলাম না, একটু বিশেষরূপ অনুসন্ধান করিলেই জানিতে পারিবেন, আমার কথা কতদূর সত্য।”
আমি ঐ পত্রখানি পাঠ করিয়া সাহেবকে কহিলাম, “এই পত্র পাইয়াই কি আপনার সন্দেহ হইয়াছে যে, ব্রজবন্ধু জুয়াচুরি করিয়া এতগুলি টাকা আপনাদিগের অফিস হইতে বাহির করিয়া লইতে বসিয়াছে?”
সাহেব। হাঁ।
আমি। এই পত্র ব্যতীত বােধ হয় আর কোন কারণ নাই, যাহাতে আপনি মনে করিতে পারেন, এ সমস্তই জুয়াচুরি কাণ্ড?
সাহেব। না।
আমি। পত্রের লিখিত সমস্ত বিষয়গুলি বােধ হয় সত্য হইলেও হইতে পারে।
সাহেব। সত্য বলিয়াই আমার অনুমান হয়।
আমি। মিথ্যা হইলেও হইতে পারে।
সাহেব। মিথ্যা সংবাদ দেওয়ার কারণ?
আমি। শত্রুতা।
সাহেব। চিঠির তাবে ত বােধ হয় না যে, লেখকের সহিত ব্রজবন্ধুর কোনরূপ শ্ত্রুতা আছে।
আমি। শত্রুতা দেখাইয়া প্ত্র লিখিলে আপনি সে পত্র বিশ্বাস করিবেন কেন? আমাদিগের দেশে এরূপ ঘটনা হইয়াই থাকে। কাহার সহিত কাহারও যদি কোনরূপ শত্রুতা থাকে, তাহা হইলে সুযোগ পাইলেই পরম্পর শত্রুতা করিতে কেহই ত্রুটী করে না। তৎব্যতীত আয় এক প্রকৃতির লােক সচরাচর