এই ভুল ধারণা আমাদের মন থেকে দূর হবে। ইতিহাসের দিক্ দিয়ে এবং সাহিত্যের দিক্ দিয়ে এই ধরণের পুস্তকাদি প্রকাশের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আজকের দিনের সুশিক্ষিত মুসলমান সম্প্রদায় এ বিষয়ে উদাসীন না থেকে যদি উৎসাহের সঙ্গে এই কাজে অগ্রসর হন তবে সম্যক্ ফল পাওয়া সম্ভব হয়।
আমি আমার বন্ধুপ্রবরের মুখে দিনের পর দিন এই সব মোগল অন্তঃপুরবাসিনী শাহজাদী ও সম্রাজ্ঞীগণের কাহিনী ও কবিতা শুনে কেবলি ভেবেছি কে এ সব রমণীয় রচনা ও কাহিনী তর্জ্জমা করে সাধারণ পাঠকদের কাছে ধরে দেবে! অপরিচিত ভাষার বাধা সরিয়ে, বিস্মৃতির অবগুণ্ঠন অপসারণ করে দিয়ে এই ক্ষুদ্র পুস্তিকায় আমার সে আশা বন্ধুবর অনেকটা পূর্ণ করেছেন; কিন্তু মনের ক্ষুধা এতে ত সম্পূর্ণ নিবৃত্তি হল না। মোগল অন্তঃপুরের পাষাণ প্রাচীর ও পর্দ্দার ওপারে যে সব ফুল ফুটে ফুটে সুদূর ইরান পর্য্যন্ত সৌরভ বিস্তার করে গেছে, তাদের মানস-শতদলের শত শত পাপ্ড়ির রং ও রূপ একমাত্র তাদের রচনা থেকে পেতে পারি আমরা। এই কাজে অগ্রসর হয়েছেন আমার বন্ধুবর ভগ্নশরীর নিয়ে, সেজন্য তিনি আমাদের সকলের ধন্যবাদের পাত্র। এমনি