এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২
জেবুন্নিসা বেগম
চর্চ্চার কথা ক্রমে যখন সর্ব্বত্র প্রচার হইতে লাগিল, তখন যে সব কবি নির্জ্জীব অবস্থায় ছিলেন, তাঁহাদের দেহে যেন আবার জীবনসঞ্চার হইল; এবং যাহাতে তাঁহাদিগের রচিত কবিতা উক্ত বেগমের নিকট পৌঁছে, সেজন্য তাঁহারা যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এমন কি অনেকেই প্রার্থনা-পত্রাদি পর্য্যন্ত কবিতায় লিখিয়া পাঠাইতেন। তাহার একটা উদাহরণ এই:—
নিয়ামত খাঁ আলী নামক এক উচ্চবংশীয় কবি অভাবে পড়িয়া একটা “কল্গী” (পাগড়ী বা টুপীর অলঙ্কার বিশেষ) বিক্রয়ের জন্য জেবুন্নিসা বেগমের নিকট প্রেরণ করেন। কিন্তু অনেক দিন অপেক্ষা করিয়াও যখন তাঁহার বাঞ্ছিত বিষয়ের কোন ফল জানিতে পারিলেন না, তখন তিনি জেবুন্নিসা বেগমকে স্মরণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতে এ সম্বন্ধে একটী কবিতা রচনা করিয়া তাহা