পাতা:জেবুন্নিসা বেগম - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৬৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
জেবুন্নিসা বেগম
৩৯

বার্ত্তা ব্যতীত কোন দোষণীয় বিষয় উল্লেখ থাকিত না। কিন্তু পরশ্রীকাতর কয়েকজন ব্যক্তি জেবুন্নিসা বেগমকে তাঁহার পিতার বিষদৃষ্টিতে নিক্ষেপ করিবার জন্য তাঁহার বিরুদ্ধে নানা কথা বলিয়া ঔরঙ্গজেবের মনে সন্দেহ জন্মাইয়া দেয়।

 স্বভাবতঃই ঔরঙ্গজেব সন্দিগ্ধ প্রকৃতির লোক ছিলেন। অন্যকে বিশ্বাস করা দূরে থাক যে নিজ সন্তানকে পর্য্যন্ত বিশ্বাস করে না, কন্যা হইলেও হেন ব্যক্তির কাছে কি আর জেবুন্নিসা বেগমের নিস্তার আছে। ঔরঙ্গজেব বাদশাহ তাহার দুহিতার উপর সন্দিহান হইয়া তাঁহাকে “সলিমগড়” বা “নূরগর” দুর্গে নজরবন্দী করিয়া রাখেন। এবং বার্ষিক বৃত্তিস্বরূপ তিনি যে চারি লক্ষ টাকা পাইতেন তাহাও বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়।

 উক্ত দুর্গ যমুনার মধ্যবর্ত্তী এক দ্বীপে শেরশাহের পুত্ত্র সলিমান্‌ বা সেলীম শাহ নির্ম্মাণ করিয়া-