অর্থাৎ বিশ্ব হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া যদি এই তত্ত্বকে ধরিতে যাই, তাহা হইলে, তাহাকে নিরাকাররূপেই ধরিতে হয়; কিন্তু এ নিরাকার অর্থে তখন বস্তুত নির্গুণ হইয়া দাড়ায়। কিন্তু বিশ্বের পরিণাম ও বিবর্ত্তনের সঙ্গে সংযূক্ত করিয়া, বিশ্বের কারণ, বিশ্বের নিয়ন্তা বিশ্বের উৎপত্তি, স্থিতি ও গতিরূপে যখনই এই পরমতত্ত্বকে ধরিতে যাই, তখনই তাহাকে সগুণ অর্থাৎ সাকারভবে ধরিতে হয়। এখানেও এক অর্থে এই তত্ত্ব নিরাকার ঘটে; সে অর্থ এই যে, ইহা কোনো আকার-বিশেষে আবদ্ধ নহে, অথচ সকল আকারেই বর্ত্তমান। স্বর্ণের যেমন নিজস্ব কোনো আকার নাই;— স্বর্ণ গোল, কি চতুষ্কোণ, কি ত্রিকোণ, এ কথা বলা যায়। ন।; অথচ কঙ্কণ, বলয়, হার, কুণ্ডলাদি সকল সাকার;—আমাদের দেশের দার্শনিকের তত্ত্ববস্তুকেও সেইরূপ সাকার-নিরাকাররূপে প্রতিষ্ঠিত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। পৃষ্ঠায় ঈশ্বরতত্ব যে এভাবে সাকার ও নিরাকার, এমন বলা যায় না। কিন্তু অন্যভাবে ইহ। যে নিতান্ত নিরাকার নহে, ইহাও অস্বীকার করা অসম্ভব।
খৃষ্টয়ান ত্রিত্ববাদ বা ট্রিনিটি
খৃষ্টীয়ান ঈশ্বরতত্ত্ব, খৃষ্ঠীয় ত্রিত্ব-বাদে বা ট্রিনিটিতেই বিশদৱাপে ধরিতে পারা যায়। পিতা, পুত্র, পবিত্রাত্মা,—এই তিনে মিলিয়া খৃষ্ঠীয় ঈশ্বরতত্ত্ব পূর্ণ হয়। কিন্তু ত্রিত্ববাদ বা ট্রিনিটি, ত্রীশ্বরবাদে বা ট্রাইথিজ্ম নহে; পিতাপুত্র, পবিত্রাত্মা, এ ভিন একান্ত পৃথক্ ও স্বতন্ত্র তত্ত্ব নহে, একই তত্ত্বের বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। স্বরূপত এ তিনই এক, প্রকাশে পৃথক। One in Osia, different in hypostatis; Otsia ও lyp০statis, উষিয়া ও হাইপোক্টেটিস,এই দু ইটী গ্রীক্ শব্দের দ্বারা খৃষ্টীয়ান তত্ত্বজ্ঞানিগণ খৃষ্টীয় ত্রিত্ববাদের মর্ম্ম ব্যক্ত করিতে চেষ্টা করিয়া থাকেন। Ousia উষিয়া শব্দের ইংরাজী অনুবাদ Essence, আমরা যাহাকে স্বরূপ বলিতে