পাতা:জেলের খাতা - বিপিনচন্দ্র পাল.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
প্রথম চিন্তা

Passion and Christ—যিশুর এই আত্মবলিদান সতত চিন্তা করিয়া যিশুর শোণিতে আপনাকে শুদ্ধ করিবে, -প্রোটেস্টেণ্ট খৃষ্টমণ্ডলী সকলেরই গভীরতম ধর্ম্মোপদেশ ইহাই! আর এই ভাবটী আয়ত্ত করিতে গেলেই যিশুর মূর্ত্তি ধ্যান করা আবশ্যক হইয়া উঠে। অতএব কোনো না কোন আকারে খৃষ্টীয় সাধনাও যে সাকারভাবাপন্ন ইহা মানিতেই হয়। তবে যে সকল খৃষ্টীয়ান সাধনজ্ঞানের ধার ধারেন না, কে বল চরিত্র শোধনে যাদের সমুদায় ধর্ম্মচেষ্টা পর্য্যবসিত হয়, যারা ধর্ম্মকে ভাবোদ্ভোসিত মরালিটিতে—মাথু আর্‌লণ্ড যাকে ধর্ম্ম বলিয়ছেন—সেই morality lit up by emotion- অধ্যাত্ম সম্পদ জ্ঞানে তাহারই অনুশীলন করেন, তাঁদের কথা স্বতন্ত্র। তাঁহাদিগকে খৃষ্টীয়ান সাধক বলিয়া না; ধরিলেও চলে।

তৃতীয় অধ্যায়

অবতারবাদ ও সাকারবাদ

 ফলত অবতারবাদ মাত্রেই সাকারবাদ। অবতীর্ণ হইতে গেলেই ঈশ্বরকে কোন না কোন আকার ধারণ করিতে হয়। আমাদের দেশে অবতার স্বীকার করিয়াও হয়ত কেহ বা নিরাকারবাদী থাকিতে পারেন। আমাদের শাস্ত্রে অবতার অসংখ্য; যুগাবতার, লীলাবতার, গুণাবতার, আবেশাবতার ইত্যাদি বহুবিধ অবতারের উল্লেখ আছে, আবার পূর্ণ অবতারেরও উল্লেখ আছে। আর মায়াবাদের সাহায্যে কোনো ব্যক্তি অবতার দেহকে মায়িক বলিয়া, অবতারীর নিরাশয়ত্ব সম্পূর্ণরূপেই রক্ষা করিতে পারেন। আর এরূপ সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করিবার চেষ্টা যে আমাদের মধ্যে একেবারে হয় নাই, তাহাও নহে। কিন্তু খৃষ্টীয় অবতারবাদে-ইনকারণেষন-বক্তমাংসময় দেহ ধারণ বোঝায়। এখানে