পাতা:জেলের খাতা - বিপিনচন্দ্র পাল.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণের কথা ৪৩ জগতের সুথ, জগতের আশ্যযত ভালবাসা, সকলের ভাগী এ অধম জন” তথনই মিছে মায়া নিদ্ৰবেশ কটিয়া গিয়া~দিব্য দৃষ্টি লাভ করিয়া, ভারতযুদ্ধক্ষেত্রে অৰ্জ্জুনের মত, ভগবান্ধছে নিখিল বিশ্বের অনন্ত সম্বন্ধস কলকে যুগপৎ একস্থ ও পৃথকীভূত প্রত্যক্ষ করিয়া কৃতার্থ হই । দ্বিতীয় অধ্যায় এই ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণ ভগবদেহে, ভাগবতী লীলার অঙ্গরূপে, এই বিশাল কৰ্ম্মজালে আবদ্ধ হইয়া, পৃথিবীতে আসিয়া উপস্থিত হয়। । তাই বলি, এই, এক রতি মানুষ, এই এক মুঠে৷ রক্তমাংস, সামাত্য বস্তু নছে। জাণ্ডের অনাদিসঞ্চিত সমুদায় কর্মর বোঝা মাথায় করিয়াএই ক্ষুদ প্রাণ, এই সূতিকাগারে আসিয়৷ ভাঁসিয়৷ উঠিয়াছে। ক্ষিত্যপতেজ মরব্যোম-—এই পঞ্চমহাভূতের যা কিছু দোষগুণ, তাহ৷ সমুদ|য়। । ইহার এই সকল ক্ষুদ্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে অভিনব আশ্ৰয় পাইয়াছে। এই পঞ্চ মহাভূতের গত কর্মের বোঝা বহিবার জষ্ঠ্য এই শিও এই ভৌতিক জগতে আসিয়া৷ জন্মিয়াছে। যুগযুগান্ত সঞ্চিত এই ভৌতিক ঋণ সে । শোধ দিতে এই মহাসংকল্প লইয়া জন্মিয়াছে-“শোধ দিবে, না হয়। । এই ভৌতিক খাণের শরশয্যাতেই তনুত্যাগ করিয়। চলিয়া যাইবে, এই ভীমের প্রতিজ্ঞা লইয়। এই প্রাণ এই ভৌতিক দেহ ধারণ করিয়াছে। তাই আমরণ এই সকল মহাভূত অহনি শ, অবিশ্রাপ্তভাবে, তার এই ভৌতিক দেহের । সেবাতে নিযুক্ত রহে । আপনাদের অনাদিকত কৰ্ম্মবন্ধন এই ক্ষুদ্র প্রাণী আত্মবলিদানে নষ্ট করিবে, আপনাদিগ্নের অনাদিকত পুণ্যফল এ পুষ্ট করিবে;-এই আশায় উৎফুল্ল হইয়া, এই সকল মহাভূত নবজাত ক্ষুদ্র প্রাণীর মুখপানে সড়ৎ হইয়া চাহিয়া থাকে।