পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দারোগার দপ্তর, ২০৪ সংখ্যা।

 এইরূপ চিন্তা করিয়া আমি যুবককে বলিলাম, “হাঁ মহাশয়, আমি হাটখোলায়ই যাইব। আপনার বাড়ী কোথায়?”

 যু। আমার বাড়ী অত দূরে নয়—পালপাড়া।

 আ। সেখান হইতে হাটখোলা কতদূর?

 যু। প্রায় অর্ধ ক্রোশ।

 আ। আর এখান হইতে?

 যু। প্রায় দেড় ক্রোশ।

 আমি চমকিত হইলাম। ভাবিয়াছিলাম, হাটখোলা নিকটেই হইবে; কিন্তু দেড়ক্রোশ পথ দূর শুনিয়া বড়ই চিন্তিত হইলাম। ভাবিলাম, এতটা পথ পদব্রজে যাওয়া বড় সহজ নহে। যুবককে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ষ্টেশনে গাড়ী নাই কেন? এখানে কি ভাড়া টায়া গাড়ী পাওয়া যায় না?”

 যুবক বলিল, “কেন পাওয়া যাইবে না? আজ বোধ হয় কোন কারণ বশতঃ এখানকার গাড়ী গুলি খাড়া হইয়া গিয়াছে। তাই ষ্টেশনে গাড়ী দেখা যাইতেছে না। কিন্তু আপনার যদি বিশেষ প্রয়োজন হয় নিকটেই আস্তাবল আছে। সেখানে অন্ততঃ দুই তিনখানি গাড়ী পাইবেন। তবে ভাড়া বোধ হয় কিছু বেশী লাগিবে।”

 আ। কি করিব? রাত্রে শেষে কোথায় যাইতে কোথায় যাইব? আপনি যদি একখানি গাড়ীভাড়া করিয়া দেন, তাহা হইলে বড় উপকৃর্ত হই। আর আপনার যদি কোন আপত্তি না থাকে, তাহা হইলে আপনিও অনায়াসে তাহাতে যাইতে পারিবেন।

 যু। আপত্তি কিছুই নাই। আপনি এই দোকানে বসুন, আমি শীঘ্রই একখানি গাড়ীভাড়া করিয়া আনিতেছি।