পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জোড়া পাপী।

১৩

 এই বলিয়া যুবক পার্শ্বই একখানি দোকান প্রদর্শন করিল, এবং তখনই তথা হইতে প্রস্থান করিল। আমিও নির্দিষ্ট দোকানে গিয়া উপবেশন করিলাম।

 সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছিল। সাজের আধার সমস্ত পৃথিবীকে গ্রাস করিয়াছিল। একে কৃষ্ণপক্ষ, তাহার উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় অন্ধকারের মাত্রা দ্বিগুণ হইয়াছিল। সহরে যেমন গ্যাসের আলোক থাকে, চাননগরে সে রূপ নাই। মধ্যে মধ্যে এক একটা কেরোসিনের অলোক মিট মিট করিয়া জ্বলতেছিল। তাহাদের ক্ষীণ আলোকে পল্লী গ্রামের পথ দিয়া কলিকাতাবাসীর যাতায়াত করা যে কি কষ্টকর, তাহ। ভুক্তভোগী মাত্রেই অনুভব করিতে পারেন। অনেক দিন পূর্বে আমি আর একবার চন্দননগরে গিয়াছিলাম। কিন্তু সে রাত্রে নহে। রাত্রিকালে সেই অপরি— চিত স্থানে কোথায় বাস করি, তাহা ও সহসা স্থির করিতে পারিলাম না।

{gap}}যে যুবক আমার জন্য গাড়ী আনিতে গিয়াছিলেন, তিনি আমার সহিত যে প্রকার ব্যবহার করিতেছেন, তাহাতে তাহাকে সজ্জন বলিয়াই বোধ হইল। নতুবা পরের জন্য তিনি সেই রাত্রে অত কষ্ট করিতে স্বীকার করিবেন কেন?

 সে যাহা হউক, সেই দোকানে বসিয়া আমি নানা প্রকার চিন্তা করিতেছি, এমুন পময় একখানা গাড়ী লইয়া সেই যুবক প্রত্যাগমন করিলেন। আমি তখনই দোকানদারের নিকট বিদায় লইয়া গাড়ীর উপর আরোহণ করিলাম। যুবক গাড়ীতেই ছিলেন, আমাকে উঠিতে দেখিয়া অবতরণ করিতেছিলেন। আমি বাধা দিয়া তাঁহাকে সেই গাড়ীতে যাইতে অনুরোধ করিলাম। তিনি অনেক