আমি ঈষৎ হাসিয়া বলিলাম, “আপত্তি কিছুই নাই, তবে কাজটা কিছু জরুরি—আজ আমায় সেখানে যাইতেই হইবে।”
কিছুক্ষণ চিন্তার পর যুবক বলিলেন, “বেশ কথা—কিন্তু আজত আর আপনি স্বস্থানে ফিরিতে পারিবেন না। আপনি কোথা হইতে আসিতেছেন?”
আ। কলিকাতা।
যু। তবে ত এরাত্রে কলিকাতা প্রত্যাগমন করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। এখন রাত্রি প্রায় আটটা, হাটখোলা দিয়া কার্য শেষ করিয়া ষ্টেশনে ফিরিতে অন্তত দশট। বাঙ্গিয়া যাইবে। তখন ত আর গাড়ী পাইবেন না। এখান হইতে রাত্রি সাড়ে নয়টার সময় কলিকাতায় শেষ ট্রেন যায়।
আমিও চিন্তিত হইলাম। সেই রাত্রে কেমন করিয়া একা অপরিচিত স্থানে বাস করিব, তাহাই ভাবিতে লাগিলাম। যুবকের বাড়ীতেই সেরাত্রি বাস করিতে স্থির করিলাম। তাঁহাকে বললাম, “যদি আর ট্রেন না থাকে, তাহা হইলে অগত্যা আমাকে এখানে থাকিতে হইবে। এই অপরিচিত স্থানে আপনি আমার যেরূপ উপকার করিতেছেন, তাহাতে আপনার অনুরোধ রক্ষা না করা নিতান্ত মূর্খের কার্য্য। কিন্তু যে কার্য্যের জন্য এতদূর আসিয়াছি অগ্রে তাহা শেষ না করিয়া আপনার বাড়ীতে যাইতে পারিব না।
আমার কথায় যুবক অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন। তিনি আগ্রহ সহকারে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হাটখোলায় কাহার বাড়ীতে যাইবেন?”
যুবকের কথায় ও কার্যে আমি এত সন্তুষ্ট হইয়াছিলাম যে,