জোড়া পাপী।
৩১
এই বলিয়া ব্রাহ্মণ স্নানার্থে গমন করিলেন, আমি ও তাঁর অপেক্ষায় সেই স্থানে বসিয়া রহিলাম।
প্রায় অর্দ্ধঘণ্টাকাল গঙ্গাগর্ভে থাকিয়া ব্রাহ্মণ ঘাটে উঠিলেন। পরে সেখানে অ'হ্নক জপ প্রভৃতি সমাধা করিয়া আমার নিকটে আসিয়া বলিলেন, “এইবার চলুন।”
প্রায় অর্দ্ধক্রোশ পথ গমন করিবার পর এক প্রকাণ্ড দ্বিতল অট্টালিকার সম্মুখে তিনি দণ্ডায়মান হইলেন এবং আমার দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “ইহাই নরেনবাবুর বাড়ী।”
ব্রহ্মণের কথা শেষ হতে না হইতে একজন গৌরকান্তি হৃষ্টপুষ্ট প্রৌঢ় সেই অট্টলিকার দ্বার উদঘাটন করিলেন, এবং সম্মুখেই আমার সমভিব্যাহারী ব্রহ্মণকে দেখিয়া অতি বিনীতভাবে বললেন, “আজ আমার সুপ্রভাত, নতুবা এই প্রাতে আপনার ন্যায় সাধুব্যক্তির চরণ দেখিতে পাইব কেন?”
বাধা দিয়া ব্রাহ্মও হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “উভয়ত, প্রত্যুষে অপর ন্যায় সজ্জনের সহিত সাক্ষাৎ হওয়া সামান্য ভাগ্যের কথা নহে। এখন ও সকল কথা ছাড়িয়া দিন, এই বাবু আনার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছেন।”
এই বলিয়া ব্রাহ্মণ প্রস্থান করিলেন। নরেন্দ্রনাথ আমার নিকট আসিয়া অতি নম্র ভাবে বলিলেন, “মহাশয়ের নাম?”
আমি প্রকৃত নাম না বলিয়া আর একটা নাম বললাম কিন্তু পদবীর পরিবর্তন করিলাম না।
“কোথা হইতে আসা হইতেছে?” কলিকাতা।”
“কি জন্য?”