পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জোড়া পাপী।
৩৩

আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তাহার বাড়ী কোথায়?

 ন। চন্দননগরে।

 আ। এখান হইতে কতদূর?

 ন। অধিক দূর নহে—প্রায় এক ক্রোশ হইবে।

 আ। তাঁহার স্বামীর নাম? কেশবচন্দ্র শর্ম্মা।

 আ। তাঁহার সহিত এখন সাক্ষাৎ হইতে পারে?

 ন। সে কথা ঠিক বলিতে পারিলাম না। একবার আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিয়া আসি।

 এই বলিয়া তিনি ভিতরে গেলেন। ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “না মহাশয়, তাহার সহিত আর এখানে দেখা হওয়া অসম্ভব, তিনি পর রাত্রের ট্রেনে কলকাতায় গিয়াছেন।”

 আ। সস্ত্রীক?

 ন। আজ্ঞে।

 আ। তবেই হইয়াছে, তাঁহার স্ত্রী আর এ জগতে নাই।”

 আমার কথায় বাধা দিয়া নরেন্দ্রনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি! কি ভয়ানক সংবাদ দিতেছেন? বাড়ীতে জানিতে পারিলে এখনই যে একটা তুমুল কাণ্ড হইবে!”

 নরেন্দ্রবাবুকে আর কোন কথা গোপন করা যুক্তিসিদ্ধ মনে করিলাম না। কেবল গত রাত্রের কথা ছাড়া আর সকল কথাই একে একে ব্যক্ত করিলাম।

 নরেন্দ্রনাথ অতি মনোযোগের সহিত আমার সকল কথা শুনিলেন। পরে অতি বিষন্ন ভাবে উত্তর করিলেন, “এ সেই কেশবেরই কার্য্য! বিবাহ করিয়া অবধি সে একদিনের জন্য স্ত্রীকে সুখী করে