পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ২০৪ সংখ্যা।

 বন্ধু সহিত যে বিষয়ের কথোপকথন হইতেছিল, তাহা স্থগিত রাথিয়া দুঃখিতান্তঃকরণে বন্ধুরকে বিদায় দিলাম। তিনিও খানা হইতে বাহির না হইতে হেড অপিস হইতে সেই কনষ্টেবল আলিয়া উপস্থিত হইল। তাহার নিকট যে পত্র ছিল, তাহা গ্রহণ করিয়া একবার পাঠ করিলাম। বুঝিলাম, অতি প্রত্যুষে ট্রাম লাইনের ঠিক মধ্যে একটা সুন্দরী যুবতীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়াছে। রমণীকে দেখিয়া ভদ্রয়ের মেয়ে বলিয়াই বোধ হয়। আপনি সেই স্থানে এখনই গমন করিয়া ঐ অনুসন্ধানে লিপ্ত হউন।

 মুহুর্ত্ত মাত্র বিলম্ব না করিয়া তখনই থানা হইতে বহির্গত হইলাম; এবং একখানি সেকেণ্ডক্লাস, ভাড়াটায়া গাড়ীতে গারোহণ করিয়া অবিলম্বে কার্য্যস্থানে গমন করিলাম।

 গাড়ীখানি যখন ঘটনার স্থলে আসিল, তখন বেলা প্রায় আটটা, সেই স্থানে গিয়া দেখিলাম, লোকের ভয়ানক ভিড় হইয়াছে। তাহার মধ্যে স্থানীয় থানার ইন্সপেক্টার বাবুও আছেন।

 থানার ইন্সপেক্টারবাবু আমার পরিচিত। আমার সহিত তাঁহার বেশ সম্ভাবও ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য আমাকে নিযুক্ত দেখিয়া তিনিও আন্তরিক অনিন্দিত হইলেন; এবং আমাকে সেই শবদেহ দেখাইলেন।

 শবদেহ পরীক্ষা করিয়া দেখিলাম, উহা তখনও বিকৃত হয় নাই; গুরুতর আঘাতে উহার নাক, মুখ ও চোক যেন হেঁচিয়া গিয়াছে, বক্ষঃস্থল যেন ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। পীনোন্নত পয়োধরু যুগলের মধ্যস্থ স্থান যেন একেবারে দমিয়া গিয়াছে। মুখ ও নাসিকা দিয়া অনেক রক্ত বাহির হইয়াছে।

 রমণীকে দেখিয়াই সত্য সত্যই ভদ্রঘরের মেয়ে বলিয়া বোধ