জোড়া পাপী।
৭
ভাবনা হইয়াছিল যে, অপর কোন কথা আমার মনোমধ্যে স্থান পায় নাই। বলিতে পারি না, কোন সময়ে বাবু আমাদের চকে ধুর দিয়া পলায়ন করিয়াছেন।
আ। পথে আর কোথাও তোমার গাড়ী থামাইয়াছিলে?
কো। অজ্ঞে না। বাবু আমাকে সেরূপ করিতে বলেন ফো। নাই।
কিছুক্ষণ চিন্তার পর আমি পুনর্ব্বার জিজ্ঞাসা করিলাম, “বাবুর নাম ধাম তোমার জানা আছে?
কোচমান ঈষৎ হাসিয়া বলিল, “না হুজুর! আর কখনও তাহাকে দেখিয়াছি বলিয়া বোধ হয় না। বাবু বোধ হয় কোন দুর দেশ হইতে আসিয়াছেন।”
আ। বাবুর সঙ্গে কোন জিনিষ পত্র ছিল না?
কো। ছিল বই কি! সমস্তই ত থানায় জমা আছে।
ইন্সপেক্টারবাবু কিছুদূর বসিয়াছিলেন। কোচমানের কথায় সায় দিয়া বলিলেন, “হাঁ, একটা ট্রাঙ্ক ও একখানা কম্বলমোড়া একটা বালিস। সম্ভবতঃ বিছানা গাড়ীর চালে ছিল, সেগুলি আমারই নিকট আছে। বলেন ত এখানে আনিতে আদেশ করি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
আমার ইঙ্গিত পাইয়া ইন্সপেক্টারবাবু তখনই একজন কনষ্টে বলকে সেই সকল, দ্রব্য আনয়ন করিতে আদেশ করিলেন।