জ্ঞাতি-শত্রু।
১৭
কিছুক্ষণ পরে একজন জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনিই কি তবে ঘাটের রেজিষ্ট্রার বাবুকে দাহ করিবার অনুমতি দিতে নিষেধ করিয়াছেন?
আমি বিষম ফাঁপরে পড়িলাম, কিছুক্ষণ ভাবিয়া সত্যকথা প্রকাশ করিতেই মনস্থ করিলাম, পরে বলিলাম, শক্তিসাধন বাবু তাঁহার জ্যেষ্ঠের মৃত্যুতে সন্দেহ করিয়া থানায় সংবাদ দিয়াছিলেন, তাঁহার মুখে যেরূপ শুনিলাম, তাহাতে সকলেরই সন্দেহ হওয়া উচিত।
যিনি আমাকে প্রশ্ন করিয়াছিলেন, আমার উত্তর শুনিয়া আন্তরিক বিরক্ত হইলেন। কিছু কর্কশ স্বরে শক্তিসাধনবাবুকে বলিলেন, তবে আপনারই এই কাজ? আপনিই এই দাহকার্য্যে ব্যাঘাত ঘটাইয়াছেন?
এই কথা শেষ হইতে না হইতে ভৃত্য ডাক্তার বাবুকে লইয়া প্রত্যাগমন করিল। সকল কথা শুনিয়া তিনি ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, আপনারা মিথ্যা ভয় করিতেছেন। আমি স্বয়ংই ঘাটে যাইতাম, কিন্তু বিশেষ কার্য্যোপলকে যাইতে পারি নাই। হরিসাধন বাবু কলেরায় মারা পড়িয়াছেন, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। আমি এখনই সার্টিফিকেট লিখিয়া দিতেছি।
এই বলিয়া ডাক্তার বাবু তখনই একখানা সার্টিফিকিট লিখিয়া দিলেন। যাঁহারা ঘাট হইতে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন, তাঁহারা কাগজখানি লইয়া পুনরায় তথায় গমন করিলেন। শক্তিসাধন আমারই নিকট বসিয়া রহিলেন।
ডাক্তার বাবু প্রস্থান করিবার পূর্ব্বে আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি কেমন করিয়া জানিলেন, হরিসাধন বাবু