১৮
দারোগার দপ্তর, ২০২ সংখ্যা।
কলেরায় মারা পড়িয়াছেন? শক্তিসাধন বাবুর সন্দেহ—কোন লোক বিষ প্রয়োগে তাঁহাকে হত্যা করিয়াছে।
ডাক্তারবাবু ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, ভ্রাতার প্রাণবিয়োগে বোধ হয় উহাঁর মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়া গিয়াছে, নতুবা তাঁহার এরূপ সন্দেহ হইবে কেন?
আ। আপনি কি দৃঢ় বিশ্বাস করেন যে, তিনি কলেরায় মারা গিয়াছেন?
ডা। আজ্ঞে হাঁ। সন্দেহের কেন কারণ নাই।
আ। কেন নাই? হরিসাধন বাবুর শত্রুর অভাব ছিল না।
ডাক্তার বাবু হাসিয়া উঠিলেন, তিনি বলিলেন, হরিসাধন বাবুর শত্রু? না মহাশয়, আমার বোধ হয়, তাঁহার আর কোন শত্রু নাই।
আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম জিজ্ঞাসা করিলাম, তাঁহার জ্ঞাতিভ্রাতাগণ কি মোকদ্দমা করিয়া তাঁহার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করিয়া লন নাই?
ডা। আজ্ঞে হাঁ, লইয়াছেন, কিন্তু এখন আর তাঁহাদের সহিত হরিসাধন বাবুর মনোমালিনা নাই। রসময় বাবুর কন্যার বিবাহে জ্ঞাতি ভ্রাতাগণের সহিত তাঁহার সদ্ভাব হইয়াছিল। এখন তাঁহারা আর হরিবাবুর শত্রু নহেন,বিশেষ বন্ধু বলিলেও অত্যুক্তি হয় না।
আ। আপনি সেরূপ মনে না করিলেও তাঁহার ভ্রাতা শক্তিসাধন বাবু সেরূপ ভাবেন না। তিনি বলিয়াছেন, তাঁহাদের জ্ঞাতিভ্রাতাগণ মৌখিক আলাপ রাখিয়া ভিতরে ভিতরে তাঁহার জ্যেষ্ঠের সর্ব্বনাশের চেষ্টায় ছিলেন। এখন সুবিধা পাইয়া কার্য্য সিদ্ধি করিয়াছেন।