৩০
দারােগার দপ্তর,২০২ সংখ্যা।
শক্তি আবার হাসিয়া উঠিলেন। হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “সে একই কথা। তোমার হাতে খাওয়া আর কোন হোটেলে অন্নাহার করা একই কথা।”
রমণী আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “সে আবার কি কথা?”
শ। কেন? তুমি কি মনে কর, হোটেলওয়ালাগণ সকলেই ব্রাহ্মণ? কখনও নহে। এমন কি, যাহারা রন্ধন করে, তাহারাও ব্রাহ্মণ-সন্তান নহে। তবে আমি সকল হোটেলের কথা বলিতেছি না, কোন কোন স্থানে প্রকৃত ব্রাহ্মণ-সন্তান দ্বারাই পাক-কার্য্য সমাধা হইয়া থাকে। কিন্তু সেরূপ হোটেল এখন এখানে পাই কোথা?
র। এত তাড়াতাড়ির প্রয়োজন কি? অন্বেষণ কর, শীঘ্রই সেরূপ হোটেলের সন্ধান পাইবে।
শ। তবে এই কয়দিন খাই কোথায়?
র। কেন, তোমার দাদার স্ত্রী কিম্বা বাড়ীর কোন লোক কি তোমায় ঐ সম্বন্ধে কোন কথা বলিয়াছেন?
শ। না—এখনও বলেন নাই বটে, কিন্তু শীঘ্রই ঐ সকল কথা শুনিতে হইবে। শুনিবার আগেই নিজের বন্দোবস্ত করা ভাল নয় কি?
রমণী কিছুক্ষণ কোন উত্তর করিল না। পরে জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার দাদা কি কোন উইল করিয়া যান নাই?”
শ। কই, সে সকল কথাত এখনও শুনি নাই।
র। নিশ্চয়ই তিনি উইল, করিয়া গিয়াছেন। আর যখন তুমি তাঁহার সহোদর, তখন তিনি যে তোমার জন্য কোন প্রকার