এমন সময়ে জগৎপ্রসিদ্ধ ১৮ ৫৭ অব্দের ভীষণ রক্তপতাকা ভারত-গগনে উডডান হইল। এই সম্বন্ধে স্বয়ং দামোদর-রাওর লেখনী হইতে যে খেদোক্তি নির্গত হইয়াছে তাহা এই ঃ-“এইরূপে, রাণী লক্ষ্মী বাই-সাহেব সর্ব্বসঙ্গ পরিত্যাগ করিয়া, রাজ্যের আশায় জলাঞ্জলি দিয়া, স্বীয় গ্রহ- বৈগুণ্যর দিন ঈশ্বর-চিন্তায় অতিবাহিত করিতেছিলেন, কিন্তু সেই পূর্ব গ্রহবৈগুণ্যের লাঘব না হইতে হইতেই অভিনব দুর্ভাগ্য দারুণভাবে তাহার পৃষ্ঠানুসরণ করিল। ধ্যানে, মনে বা স্বপ্নেও যাহা অকল্পনীয়, ঘরে বসিয়া এইরূপ সঙ্কটে তিনি পতিত হইলেন এবং নিজেরও সেই সঙ্গে আমাদিগের সুখ সৰ্বস্ব নষ্ট করিয়া ও পরিশেষে স্বীয় জীবন পর্যন্ত আহুতি দিয়া, এই অজ্ঞান-দেশে এই জগতীতলে আমাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থান রাখিয়া গেলেন না।”
মহারাণী লক্ষ্মীবাই ঔদাস্যব্রত ত্যাগ করিয়া, কিরূপে অল্পে অল্পে বিপ্লব-তরঙ্গের মধ্যে–ঘোর সমরাবর্তের মধ্যে নীত হইয়াছিলেন, তাহার বিবরণ পরে দেওয়া যাইবে। আপাতত এই বলিয়া উপসংহার করি,
১৮৫৮ অব্দের সিপাহী-বিদ্রোহ বঙ্গদেশে সূত্রপাত হইয়া ক্রমশঃ সেই বিদ্রোহানল মিরট, দিল্লি প্রভৃতি স্থানে প্রসারিত হইল। মিরট ও দিল্লির বিদ্রোহ-সমাচার ঝাঁশিতে আসিয়া পৌছিল। এই সময়ে ঋশি-স্থিত সিপাহী-পণ্টনের অধিনায়ক কাপ্তেন ডক্লপ, এবং ঋত্রি কমিশনর ও সমস্ত রাষ্ট্রীয় বিভাগের কর্তা, কাপ্তেন আলেজাণ্ডার স্কীন ছিলেন। তাহাদিগের সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছিল, আর সকল স্থানের সৈন্য বিগড়াইলেও, ঝঁশির সৈন্য কখনই বিগড়াইবে না। বিশেষতঃ, ঝাশির রাণী অবলা ২