উপস্থিত হইলেন। এবং নিম্নলিখিত শ্লোকের উক্তি-অনুসারে নলিনী ও নলিনী-মধুমত্ত দ্বিরেফ উভয়ই একসঙ্গে গজকবলে পতিত হইল।
“রাত্রির্গমিয্যতি ভবিষ্যতি সুপ্রভাত
ভাস্বানুদেষ্যতি হসিষ্যতি পদ্মজালং।
ইথং বিচিন্তয়তি কোশগতে দ্বিরেফে,
হা হন্ত হস্ত নলিনীং গজ উজ্জহার॥”
ইংরাজের সহিত যুদ্ধ।
ইংরাজ-সৈন্য ঝাঁশি-অভিমুখে কুচ করিয়া আসিতেছে এই সংবাদ ঝাঁশিতে আসিয়া পৌছিল, তথাপি ঝাঁশির প্রধান-বর্গ সে বিষয়ে বড় মনযোগ দিলেন না। লালাভাউ বশি, নানা-ভোপট কর প্রভৃতি,ঝাঁশি-দরবারের পুরাতন মুছুদি (ষ্টেট সমান) লক্ষ্মণ-রাওবাওে নামক ঝাঁশির নবীন দেওয়ানকে অনেক করিয়া বুঝাইলেন, কিন্তু তিনি গর্বভরে তাহাদের কথায় ধিক্কার করিলেন। শুদ্ধ তাহা নহে, রাণীঠাকুরাণীর সহিত যাহাতে তাহাদের সাক্ষাৎ না হয় তাহারও উপায় অবলম্বন করিলেন। তথাপি, নানা-ভোপটকর রাণীঠাকুরাণীর সহিত গোপনে সাক্ষাৎ করিয়া রাষ্ট্রীয় ব্যাপার সম্বন্ধে সমস্ত কথা নিবেদন করিয়া অবশেষে এইরূপ প্রার্থনা জানাইলেন। “আমি কঁশি-রাজ্যের সেবায় বহুকাল অতি- বাহিত করিয়াছি; অতএব, আমার প্রার্থনা এই, ইংরাজ-সরকারের নিকট যেন একজন উকীল অবশ্য-অবশ্য পাঠানো হয়। বিদ্রোহীদিগের সহিত আপনার কোন সম্বন্ধ নাই, ইংরাজের হুকুম-অনুসারেই আপনি রাজ্যের বন্দোবস্ত করিয়াছেন এবং ইংরাজের হিতোদ্দেশেই আপনি বোছার সৈন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া তাহাদিগকে দমন করিয়াছেন এই সমস্ত কথা ভাল করিয়া বুঝাইবার জন্য একজন সুচতুর উকীলকে পাঠানো আবশ্যক। আপনি ইংরাজ-সরকারের নিকট পত্র প্রেরণ