পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝিলে জঙ্গলে শিকার। হওয়া অসম্ভব। সে সময় এই বন্দুক ব্যবহার কর্তে কারাে দ্বিধা হবার কথা নয়। মাঝে মাঝে ta-bore বন্দুক বহে নিয়ে বেড়াতে তার গুরুভারে হাত দুখানি একেবারে শ্রান্ত হয়ে পড়ে। তখন তনুদেহi6-bore আয়ােস্ত্র তুলে নিলে হাড় যেন জুড়িয়ে যায়, আপনার অজ্ঞাতে আরামের নিখাস পড়ে। কিন্তু তােমার প্রতিপক্ষ পক্ষীরা যদি গৃহপালিত কুকুটের রীতি নীতি অনুসরণ করে, উড়ে উঠে নেমে পড়ে, তোমার ক্ষিপ্রতার দারুণ পরীক্ষা নিতে চায়, তখন শস্ত্রের শােভনতা ও তনুদেহের মায়া ত্যাগ করে বিপুল ভার বহনের জন্যেই মন ত্বরান্বিত হয়ে উঠে। বহু বহু বৎসর পূর্বে যখন পাখীর সংখ্যা অবিক ও শিকারীর সংখ্যা স্বল্প ছিল তখন তন্বী, আর বিপুল শ্রেণী ভারাবতা দুইয়ের সঙ্গে লাশ শীলা চলত। এখন কিন্তু মৃগয়াক্ষেত্রে একের পক্ষপাতী হয়ে পড়েছি, অপরটি গৃহের নিরাপদ আশ্রয়ে বিশ্রাম করলেই মন নিশ্চিন্ত থাকে। 20-bore এখনও আকর্ষণশক্তি বিহীন নয়। যে দিনে সে অনেক হতাহত গণনা করতে পারত, আমি বার বার এখনও সে পুরাণ দিনের কথা ভুলতে পারিনে, কেবলি সে পথে ফিরে ফিরে চাই। একদিন আমরা শিকার ক্ষেত্রে কিছু সকাল সকাল গিয়ে পৌছেছিলাম। কাজ আরম্ভ করতে প্রায় সাড়ে আটটা হল। যখন আবিষ্কার হল, আমাদের সবে পঞ্চাশটি 12 bare কাদের পরিবর্তে ক্ষীণশক্তি বহুতর কাৰ্ত্ত য এসেছে তখন মন নিশ্চয়ই প্রসন্ন হয় নি। প্রতিপদে কখনাে একক কখনো বা বহু সঙ্গী সাথী নিয়ে পাখীরা উড়ে উঠে আমাদের মন মুগ্ধ করে ছিল। বুঝলাম আজকের দিন বৃথা যাবে না। সেদিন 20-bore আমাদের এমি মন যুগিয়ে চলেছিল, কাত আমাদের এমন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল,যে দিনের শেষে দিনের ফলাফল গণনা করে মােহ আমাদের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছিল। স্নাইপ শিকারের বিশেষ একটি মােহিনী শক্তি আছে। শিকারীর মন এতে পরিতুষ্ট হয়, তবে শার্দূল ভল্লুকাদির বিপজ্জনক শিকারই মৃগয়! ক্ষেত্রে প্রথম পদবী পাবার যোগ্য। স্নাইপ শিকারে চোখেরও হাতের চতুরতার যে শিক্ষা হয় তা অন্যত্র হওয়া অম্ভব। যদিও আগেকার মত এদের সংখ্যা বহুতর নয়, তবুও প্রতি বৎসরই কাছাকাছি সকলেই এদের নাগাল পেতে পারে। এই সম্পূর্ণ তা লাভ করতে হলে শুধু নিজের সময় দিলেই চলেনা, নিজেকেও দিতে হয়। “পাপে মৃত্যু”, এ প্রবাদ ভুললে সবই মিছে হয়। জীবন সুন্দর সংযত রাখতে হয়; নইলে সবই ব্যর্থ। বালক বয়স হতেই না দেখে বন্দুক ভরতে, আর দুচোখ খুলে তীর চুড়বার মত করে বন্দুক ছাড়তে অভ্যাস করা ভাল। এতেই পূর্ণ নৈপুণ্য লাভ হয়, এতে চলন সই রকম কতিত্ব লাভ করে, একটা লাগল, অন্যটা ফসকাল দেখে, ও যা করতে হয় না। অনেক শিকারী, দুর্ভাগ্যবশতঃ এদের সংখ্যাও বড় কম নয়, অসাবধানতাবশতঃ মইপ মারতে গিয়ে মাঝে মাঝে আশে পাশে ক্ষেতে যারা কাজ করে কিম্বা গরু চরায় তাদের গায়ে ছয় বিঁধে ব্যথা দিয়ে থাকেন। সে জন্যে কিছুমাত্র লজ্জা বোধ করেন না। বরং গৌরব করে থাকেন। বেশ খাতির নদারৎ ভাবে বলতে শুনেছি মাদ্রাজে এ অবস্থায় এক ছররার জরিমানা চার আনা মাত্র। যিনি এই জরিমানা ধার্য করেছেন, তাকে একবার দেখতে ইচ্ছা হয়, আর টাকা দুয়েক দীনের এই। গুলিকাধীরা তার শরীর খানিতে প্রবেশ করিয়ে দিলে মুখখানায় কি ভাবের অভিব্যক্তি হয় জানতে। ইচ্ছা করে। দেহের কোন প্রদেশে এ পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়, সেটা স্বয়ং নির্বাচন করবার স্বাধীনতা তাকে দিতে আমরা সন্মত অছি। যুক্ত ল বন্দুকের অসাবধান লক্ষ্যের ফলে কেমন করে তাঁর ডান চোখটি হারান সে দুঃখের ঘটনা আৰও আমার মনে আছে। এখান হতে অনুতিদূরে মাঝ-বাংলায় G