পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। ] -- ।

  • !

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। ঠিক”। “আচ্ছা বেশ তা হলে এখন এস, শুভ রাত্রি, ভগবান তােমাকে কুশলে রাখুন। আমি ফরাসকে বলব যে তােমাকে যেন ডেকে দেয় এবং আমিও নিজে উঠে তােমাকে দাড়িয়ে থেকে রওনা করে দেব”। টমকে যখন শষ্যাদাসী লইয়া গেল তখন সে বড় অন্যমনস্ক ছিল। তারপর সেই মােটাসােটা স্ত্রীলােকটি আমার সােনা” বলিয়া একটি চুমাে। খাইতে তখন তাহার চমক ভাঙ্গিল দেখিল সে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘােট চিলাঘরের মধ্যে রহিয়াছে। টম বড় অপ্রস্তুত ছিল বলিয়া তাহার এই অপমানের জন্য দাসীকে সমুচিত অনুযােগ করিতে অৰকাশ পাইল না। তারপর তার পিতার শেষ কথাগুলি এবং যে ভাবে তিনি কথাগুলি বলিয়াছিলেন ভাবিতে ভাবিতে সে নতজানু হইয়া প্রার্থনা করিল যে যা ঘটে ঘটুক সে বাড়ীর আত্মজনের যেন কোন দিন লজ্জা বা দুঃখের কারণ না হয়। বস্তুতঃ স্কোয়্যারের এই শেষ উপদেশের ফল হওয়ার কথা, কেননা ঐ কথাগুলি তাহার অনেক অভিনিবিষ্ট চিন্তার ফল। লণ্ডনে আসিতে সারা পথ বিদায়কালে তিনি টমকে কি উপদেশ দিবেন তাহাই ভাবিতে ভাবিতে আসিয়াছিলেন—এমন একটা কিছু যাহা বালক মনে ধরিয়া রাখিতে পারে এবং সহজেই কাজে লাগে। মনঃসংযােগের সাধন স্বরূপ তিনি অবশেষে পাথর চকমকি এবং সােল বাহির করিয়া প্রায় মিনিট পনর ঠোকাঠুকির পর একটা লম্বা ত্রিচিনা পল্লী চুরুট ধরাইয়া নিঃশব্দে টানিতে টানিতে আসিয়াছিলেন। ইহাতে কোচোয়ান সাহেব বড়ই আশ্চর্য্য হইয়াছিল। সে পুরান বন্ধু এবং ৰাখের রাস্তায় একটা প্রতিষ্ঠান বলিলেই হয়, এবং স্কোয়্যার যখন সােয়ারি হইতেন তপন চাষাবাদ ও সমাজের আবহাওয়া ও কাজকর্মের সম্বন্ধে আলাপ করিবার বরাবর আশা রাখি। । । । । LI।