পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাক-গাড়ী তরিবতের সহিত করিতে লাগিল, যেন এবিষয়ে কোন তাড়া নাই এই ভাবটা বিশেষ করিয়া উপভােগ করিতে চাহে। কোচোয়ান তাহার মাল ও আরােহীর ফর্দ হাতে করিয়া, শিকারী ভদ্রলােক তাহাকে যে চুরুট দিয়াছিলেন তাহা ফুকিতে ফুকিতে বাহির হইয়া আসিল। গার্ড ও সরাব-ঘর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইল! সে সেইখানেই ইচ্ছা করিয়া প্রাতরাশ খাইতেছিল, সে একটা অতি বেতর গােছের চিমড়ে চুরুট, বা তুমি তােমার আঙ্গুলে জড়াইয়া লইতে পার, অবলেহন করিতেছিল, কিন্তু অন্য কেহ হইলে তিন টানেই মাথা ঘুরিয়া পড়িয়া যাইত। | লাল পােষাকধারীরা সরাইয়ের দরজায় দাড়াইয়া চুরুট ধরাইতে ধরাইতে আমরা রওনা হইব দেখিবার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল। তাহাদের ছড়গুলাকে ততক্ষণ সরাইয়ের সামনে বাজারের মধ্যে টহলাননা হইতেছিল । তারা সকলেই আমাদের সহযাত্রী শিকারী ভদ্রলােককে জানে এবং তিনি যখন উহাদের সহিত হাসিখুসিও গল্প করিতেছিলেন তখন আমরাও যেন একটা প্রতিফলিত গৌরব অনুভব করিয়াছিলাম । কোচোয়ান বলিল “তবে আর কি, মশায়, চলি।” অন্য সব আরােহীরা ইতিপুঝেই গাড়ীতে উঠয়াছে এবং গার্ড তখন পিছনদিকের খোপ তালা বন্ধ করিতেছে। “তােমাদের শিকারের দৌড় জমুক ভাল।” শিকারী ভদ্রলােক কুকুরপালদের এইরূপ সম্ভাষণ করিয়া নিমেষের মধ্যে কোচোয়ানের পাশে আসিয়া দাখিল হইলেন। | “ছেড়ে দাও ডিক।” অশ্বপালেরা ঘােড়ার চিকণ গাত্র হইতে কাপড় টানিয়া লইয়া হটিয়া গেল এবং আমরাও বাজারের ভিতর দিয়া বড় রাস্তা ধরিয়া বেগে ধাবিত হইলাম। দোতালার জানালা দিয়া দেখি অনেক সজ্জন পৌর ক্ষৌরকর্মে নিযুক্ত রহিয়াছে দোকানের হােকরা জানালা সাফ এবং বাড়ীর ঝিরা পৈঠা মার্জনা করিতেছে, - এ