পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪। টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। বললে ‘হ্যা' : ‘তাহলেত ভারি দুঃখের বিষয় তুমি এমন অসৎ সঙ্গে পড়েছ। আচ্ছ। তবে তােমার বাবার খাতিরে আর তােমার সাহস দেখে আমি আর এ বিষয়ে কিছু উচ্চবাচ্য করব না, যাও। আর তারপর কি হাততালি আর বাহবা। ছেলেরা বুড়াকে জয়ধ্বনি দিলে, আর লােকেরদল সেই ছােট ছেলেকে জয়ধ্বনি দিতে লাগলাে। ছােকরাদের সবের বড়র মধ্যে একজন তখন নেমে খুব ভদ্রয়ানার সঙ্গে আর সকলের পক্ষে বুড়ার কাছে মাপ চাইলে। বললে যে তাদের প্রথম থেকেই মনে বড় ধিক্কার হয়েছিল, তবে মাপ চাইনি এই জন্য যে তাদের তামাসার উচিত ফলভােগ করতে নারাজি হওয়া উচিত নয় মনে করে। তারপর তারা সকলেই নেমে বুড়াের সহিত হস্তমর্দন করলাে এবং তাকে সকলেই দিকে দিকে যে যার বাড়ীতে নেমন্তন্ন করলাে। এবং তারপর প্রায় বিশমিনিট দেরিতে আমরা গাড় ছাড়লুম। আর আমাদের পেছনে পেছনে এমন হাঁকা হাঁকি আর হাততালির ধুম পড়ে গেল যেন আমরা পালিমেন্টের মেম্বর আর কি। তারপর গার্ড হাঁটু পাপড়াইয়া টমের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়া পুনরায় বলিল “কিন্তু মশায় সে কথা আর তােমায় কি বলব, দশমিনিট বাদে যেকে সেই”। টম এই সকল গল্প এত অকুষ্টিত আগ্রহের সহিত মুখ ব্যাদান করিয়া "শুনিতেছিল রে বুড়া গার্ড তাহার স্মরণ শক্তি চনকাইয়া লইয়া গত বিশ বৎসরের মধ্যে রাস্তার উপর ছেলেদের নানারূপ কাকলাপে সুরঞ্জিত ইতিহাসের বিবৃতিতে প্রবৃত্ত হইল। রাস্তা ছাড়িয়া যাইর তাহার সামর্থ্য ছিল না। যে সব কার্যকলাপের সহিত ঘােড়া কি গাড়ীর কোনরূপ সব ছিল না তাহা বুড়ার মস্তিষ্কে খুলিয়া থাকিবার এত কোনরূপ অবলম্বন পায় নাই। টম তাহাকে তাহার নিজের গণ্ডীয় বাহিরে দু একবার পরখ করিয়া দেখিল যে সে বাহিরের কথা আর কিছুই 11H