পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাগবি এবং ফুটবল' ১৯ কোচোয়ানকে দেখিয়া নিতান্ত আলাপীর মত ঘাড় নাড়িল, যেন তাহাদের মধ্যে যে কেহ কোচবাক্সে চড়িয়া চৌঘুড়ীটা রাস্তা দিয়া ঠিক সেই ভাবেই হাঁকাইয়া যাইতে পারে। এই তরুণ বীরপুরুষদের মধ্যে একজন ছুটিয়া আসিয়া হিচড়াইয়া গাড়ীর পিছনে উঠিল, তারপর আপনাকে সামলাইয়া লইয়া “কেমন আছ হে জেম” বলিয়া গার্ডের দিকে ঘাড় নাড়িয়া হঠাৎ টমের দিকে ফিরিল এবং মিনিট খানেক আপাদ মস্তক নিরীক্ষণ করিয়া বলিল - “ওহে ছােকরা তােমার নাম ব্রাউন নাকি? টম বিলক্ষণ আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল “হ”। তবে মনে মনে আহাদ হইল যে সে ইতিমধ্যেই এমন একজনের কাছে আসিয়া তিড়িয়াছে যে তাহার খবর জানে বলিয়া বােধ হয়। “ই। আমিও তাই ভাবছিলুম, তুমি আমার বুড়ো পিসীমাকে জান, মিশ ইষ্ট, বার্কশায়ারে তােমাদের ঐ ধারে কোনখানে থাকেন, তিনি আমাকে চিঠি লিখেছিলেন যে তুমি আজ আসছ, এবং লিখেছিলেন যে প্রথমে আমি যেন তােমাকে একটু চালিয়ে নিই”। টম তাহার নূতন বন্ধুর এই মুরুব্বিয়ানা চালে মনে মনে বেশ একটু উষ্মা বােধ করিয়াছিল। মাথায় তারই মতন এবং বয়সে সমান, কিন্তু ছােকরা অতি অসম্ভব রকমের সাউখোর ও সপ্রতিভ, টমের বড় অসহ্য ঠেকিল, কিন্তু যখন এই ক্ষুদ্র লাটটি দু তিনজন নিষ্কর্মা জোয়ান আধামুটে আধাসহিস গােছ, বেশ একটু বদমাইশির ছিট আছে এমনতর লােককে ধরিয়া, ধমক চমক দিয়া, কুই বলে একজনের সঙ্গে টমের মালপত্র স্কুল বাড়ীতে পৌছিয়া দিবার জন্য ছয় লেন্সে বন্দোবস্ত করিয়া ফেলিল তখব হাজার হইলেও টম তাহাকে মনে মনে ঈর্ষা ও প্রশংসা না করিয়া পারিল না। .