পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। । । ১৯৪ উম ব্রাউনের স্কুলজীবন । গড়া করিয়া প্রায়শঃ কোন ছােট ভীতু ছেলেকে ধরিয়া শান্তি দিতে লাগিল। সে বেচারীরা ওক বীচি এবং বেত উভয়কেই সমভাবে ভয় করে। আর মূল খেলােয়াড়েরা সেই সুযােগে কৌশলে এড়াইয়া যাইতে লাগিল। এইরূপে নামক ব্যাপারটা কোনরূপে গড়াইয়া চলিল, যেমন আমাদের এই বৃহৎ সংসার চক্রটাও কোন রকমে চলিতেছে আর কি। শাস্তি প্রায়ই উল্টা লােকের ঘাড়েই পড়িতে লাগিল, তবে যেমন তেমন করিয়া গােলযােগের মধ্যে কাজটা সমাধা হইয়া আসিল, এবং উহাই আদত কথা। অবশেষে মাষ্টার মহাশয় কাষ্য হাসিল করিয়া স্কুল ঘরে চাবি লাগাইলেন এবং ঐ সপ্তাহের প্রিপােষ্টারে বাহির হইয়া আসিয়া যে সব দু দশজন এড়াটে খাটানে’ পালাবার সন্ধানে ফাইভস কোটের আনাচে কানাচে ঘুরাফিরা করিতেছিল তাহাদিগকে লইয়া হাতার মধ্যে পুরিল।। “পান্টটাকে রেখে দাও, গােলের দিকে যাও” বলিয়া চারি দিক থেকে চীৎকার উঠিল এবং কর্তৃপক্ষের সমস্ত ছুটা বল আটক করিল। তারপর সমস্ত ছেলের দল তিন ভাগ হইয়া গােলের দিকে অগ্রসর হইল । দিকে ঐ যে ছোট দলটি পনর কুড়িজন হইবে, যাহাদের মধ্যে টমও আছে, উহারা স্কুল বাড়ীর দেওয়ালের গায়ে যে গেল সেই দিকে যাইতেছে। ইহারা স্কুল বাড়ীর ছাত্র তবে এগাইয়া ফেলিবে না, গােলে দাড়াইবে , আর উহাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী যে এক দল ছেলে দীপের কাছের গােলের দিকে যাইতেছে উহারা সমাবস্থাপন্ন ফুলপক্ষের ছেলে, গোলে থাকিবেআর মাঝখানে যে বৃহৎ জনতা রহিয়াছে উহারা আগানে খেলোয়াড়, এখন দুই পক্ষের মেশামেশি করিয়া হিয়াছে । উহারা তাহাদের জ্যাকেট, আর যাহাদের প্রকৃত মেহনত করিবার অভিপ্রায় আছে তাহারা তাহাদের স্থাট, ওয়েষ্টকোট, গলার - । ।