পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। বিপরীত দিকে বল লইয়া যাইতে লাগিল। বড় ব্রুক যবের যুদ্ধান্তের ন্যায় সমস্ত রঙ্গভূমি পরিক্রমণ করিতে লাগিল। অতি বড় নিবিড় গুলতানও তাহার ধাক্কার সামনে ছিপের মুখে ঢেউয়ের মত দুচির হইয়া কাটিয়া পড়িতে লাগিল। তাহার সমুচ্চ উৎসাহপূর্ণ কণ্ঠ সমস্ত রঙ্গভূমি নিনাদিত করিতে লাগিল, তাহার অভ্রান্ত চক্ষু সৰ্ব্বত্র ফিরিতে লাগিল এবং যদি বা বল উহাদিগকে এড়াইয়া কখনও আমাদের গােলের সামনে সঙ্গিন ভাবে আসিয়া পড়ে, অমনই ক্র্যাব জোন্সও তাহার দল উহা ধরিয়া ফেলিয়া অভ্রান্ত পড়ন-লাথির ঘায়ে পাশের দিকে চালান করিয়া দেয়। সার্থক খেলা। স্কুলের ছাত্রের সমস্ত জীবনের সমষ্টি এই ঘােষুধ্যমান প্রচেষ্টাপূর্ণ অর্ধ-ঘণ্টা-পরিমিত সময়ের মধে পুঞ্জীভূত হইয়া উঠিল। এরূপ অর্ধ ঘণ্টা সাধারণ জীবনের এক বৎসরের সমতুল্য। | পৌনে পাঁচটা বাজিল এবং গােলের সামনে মিনিট খানেকের জন্য বেলা একটু ঢিমা পড়িল, কিন্তু ঐ দেখ সন্ধানী – আমাদের গােলের পিছনে দ্বীপের দিকে, যেখানে আমাদের পেছলি সৰ্ব্বাপেক্ষা দুর্বল সেই দিকে বল তাড়াইয়া লইয়া চলিতেছে। তবে আমাদের পক্ষে যে কি উহাকে আগলাইবার নাই ? আছে বৈ কি, ক্ষুদ্র ইষ্টের দিকে তাকাও বলটা এখন উহাদের দুজনের ঠিক মধ্যবর্ত্তী ; উহার ঠিক এক সঙ্গেই বেগে ছুটিয়া আসিল, ঐ সতের বছরের জােয়ান মন্দ, আর ঐ বার বছরের শিশু-ঠিক এক মুহূর্তেই দুজনে লাথি কষাইল। ক্রু একটু টাল পৰ্য্যন্ত খাইয়া আগাইয়া গেল, আর ইষ্ট ধাক্কার চোটে কাধ যেন মাটিতে পুতিয়া ফেলিতে চায় এইভাবে হুমড়ি খাইয়া পড়িয়া গেল, কিন্তু বল সিধা উছে উঠিয়া কুর পশ্চাতে পতিত হইল। আর লৰাড়ীর বাহবা শব্দ, এই তুমুল লড়াইয়ের দিনের সর্বাপেক্ষা বিক্রমপূর্ণ সংঘর্ষের আয় ঘােষণা ।