পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 Y । L F । ১৪২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। “ওরে মিনসে ষ্টাম্প তুই আজ আবার বেজায় বীয়র ঠুসেছি, নয় ? “তােমার পয়সায় ত নয়”। “স্টাম্পসের পায়ের ডিম গাটে নেমেছে,, এইবার বােধ হয় চরতে যাবে”। “হাঁ, তবে তােমার মত একেবারে থাকার চেয়ে ভাল। খুব খেলে জিনিষ স্বীকার করি, কিন্তু একরকমে সময় কাটিতেছিল ত, এবং মাঝে মাঝে স্যালি ভাপ আলুর টিন লইয়া উপস্থিত হইতেছিল, আর উহা কয়েক পলকেই নিঃশেষ হইয়া যাইতেছিল। প্রত্যেক ছােকরা তাহার ভাগ পাইবামাত্রই উহা লইয়া বাড়ীমুখে ছুট দিয়া চীৎকার করিয়া বলিয়া যাইতেছিল স্থালি, আমার নামে দুপেনি খরচ লিখাে” “আমার আর ডেভিসের নামে তিন পেনি লিখাে', ইত্যাদি। কি করিয়া সে তাহার নিজের মাথায় আর প্লেটের উপর এত সমস্ত হিসাব খারা রাখিত ভাবিলে অবাক হই। ইষ্ট এবং টম সওদা লইয়া বিদায় হইয়া তালাবন্ধের ঘণ্টা পড়িতেছে ঠিক এমন সময়ে স্কুলবাড়ীর মুখে ফিরিল। ইষ্ট পথে ষ্টাম্পসের ইতিবৃত্ত এবং কাৰ্যকলাপ সম্বন্ধে বর্ণনা করিতে লাগিল । এই ষ্টাম্পস লােকটা মাথা-পাগল গােছের। তাহার অন্যান্য ছােটখাট কাজকর্মের মধ্যে পশ্চাং বাহকরূপে সেভেন চেয়ার বা তাঞ্জাম বহাও একটা কাজ ছিল। এই তাঞ্জামদানি ঐ শ্রেণীর যানের শেষ দৃষ্টান্তমূল, উহাতে করিয়া রাগবির মহিলারা এখনও চায়ের নিমন্ত্রণ খাইতে মাতায়াত করিতেন। যখন সােয়ারি লইয়া ষ্টাম্পসের তাত্মামে জোতা থাকিত, তথন যত সব ছােট দুষ্ট ছেলে তাহার পিছন পিছন ছুটিয়া গিয়া তাহার পায়ের ডিমে ছণ্টি লাগাইত। এতটা অত্যাচার ষ্টান্সের মেজাজেও বরদাস্ত হইত না এবং খালাস পাইলেই প্রতিশোধ লইবার জন্য অপরিগ্রস্থ রােগীর ন্যায় সে তার অত্যাচারীদের পশ্চাতে ধাবমান হইত। কিন্তু ৰীয়া খাইবার এ দুপেনি পাইলেই আবার সহজেই ঠাণ্ডা হইত। T L . . I - - " ।।