পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৫ ম্যাচ খেলার পর। পড়িবার ঘরে আসিয়া প্রধান কাজ হইল টেবিলের “টানা, চাদর এবং সজ্জাব্য প্রভৃতি সরাইয়া ইষ্টের টেবিলটি খালাস করা, কেননা ইষ্ট নীচের দরদালানে থাকিত এবং সঙ্গীতের সময় তাহার টেবিলের তলব পড়িত। সাতটার সময় যথারীতি রাত্রির খাবার আসিল-রুটি, পনীর এবং বীয়ার। বীয়ার সঙ্গীতের জন্য সকলেই বাঁচাইয়া রাখিল এবং আহারের পরক্ষণেই খাটানিয়ারা হলঘর, সিজিল করিতে চলিয়া গেল। পূর্বেই বলিয়াছি স্কুলবাড়ীর হলঘর একটা মস্ত লম্বা উচু ঘর, একধারে দুইটি বড় বড় অগ্নিস্থলী আর দুইটি বড় লােহা-বাঁধন টেবিল, একটা মাঝে লম্বালম্বি করিয়া পা, আর একটা অগ্নিস্থলীর বিপরীত দিকে দেওয়ালের গায়ে পাতা। খাটানিয়ার উপর দিকের অগ্নিকুণ্ডটি বেড়িয়া অশ্বখুরের আকারে টেবিল সাজাইল এবং উহার উপর শনিবার রাত্রির বরাদ্দমত বীয়ারের জগগুলি বসাইল, তারপর বড় ছােরারা একে একে আসিতে লাগিল, সঙ্গে, বীয়ারের বােতল এবং গানের বহি। কারণ যদিও গানগুলি সকলেরই মুখস্থ ছিল তথাপি পূর্বতন বীরপুঙ্গবের অনুক্রমাগত সযত্ন-লিখিত একখানি গানের পুরাণ পুথি সঙ্গে রাখা প্রকৃষ্ট রীতি বলিয়া পরিগণিত হইত। | যষ্ঠ ফৰ্ম্মার ছকরারা তখনও আসিয়া উপস্থিত হয় নাই, সুতরাং এই অবকাশটুকু পূরণ করিবার জন্য একটি চিত্তরঞ্জক এবং কামায়। আচারের অনুষ্ঠান করা হইল। প্রত্যেক নূতন ছেলেকে পৰ্য্যায়ক্রমে টেবিলের উপর দাঁড় করাইয়া একটি করিয়া গান করান হইল। যিনি গররাজি হইবেন বা গান করিতে গিয়া মুসড়িয়া পেিড়ন তাহাকে এক মগ মুন জল খাইতে হইবে ইহাই শান্তি। যাই হক নূতন ছেলেরা সব বুলবুলের মত ক্ষত্তির সঙ্গে গান গাহিল, সুতরাং আর মুন জল তলব করা আবশ্যক হইল না। টম তাহার পালা আসিলে “লেদার ১০ ।

|