পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। । ১৪ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। আমি দেখছি যে আমি কি কথা বলতে যাচ্ছি তা তােমরা সকলেই জান” (উচ্চ করতালি), “সুতরাং আমি তােমাদের আর বেশীক্ষণ আটকে রাখতে চাই না, কেবল এইটুকু বলতে চাই যে স্বাস্থ্যপানটি ঠিক যেমনটি করে করা উচিত ঠিক তেমনই করে তােমরা করবে। কার জঙ্ক এই বাস্থ্য পান তাকি তােমাদের বলতে হবে। সেই--একাদশের অগ্রণী, ফুটবলের বড় দলের প্রধান, আজ এই মহা গৌরবের দিনে আমাদের নায়ক, আমাদের গুরুজি ব্রুক। | এই যাই বলা আর এমন টেবিল পিটনি এবং করতালির শব্দ উঠিল যে কাণে তালা ধরিবার যােগাড় হইল। তখন বড় ব্রুক উঠিয়া দাড়াইলেন। একখানা টেবিল ভাঙ্গিয়া, গ্যালন থানে বীয়ার উল্টাইয়া এবং চীৎকার করিয়া সকলের গলা কাঠ হইয়া আসিবার পর গােল থামিলে, নায়কবর দুই হাতে টেবিলে ভর দিয়া এবং সামনে একটু বুকিয়া বলিতে লাগিলেন-কোনরূপ অভিনয়-ভঙ্গি নাই, বাগ্মিতার কোনরূপ ছল কৌশল নাই, সরল, সবল এবং সিধা, ঠিক তাহার খেলারই অত:| “স্কুল বাড়ীর ভদ্রগণ, তােমরা যে ভাবে আমার নামের সম্বর্ধনা করলে তাহাতে আমি বিশেষ গৌরব অনুভব না করে থাকতে পারি না। প্রত্যুত্তরে আমি যা বলতে চাই তার সবখানি বলতে পারি বলে আমার বড় ইচ্ছ, কিন্তু আমি জানি যে তা আমি পারব না। যাই হােক জীবনের অনেকখানি অংশ যে এইখানে কাটিয়ে গেল, যে অবিলম্বেই তােমাদের কাছে বিদায় নেবে, এমন জনের পক্ষে, আমার বিবেচনায়, তােমাদের কাছে যা বলা উচিত, আমি সেই কথাই তােমাদের যথাসম্ভব বলতে চেষ্টা করব। আজ আট বৎসর হতে চলল এখানে এসেছি, আর এমন আটটি বৎসর যা আমি কখনও ফিরে পাব বলে আশা হয় না, । । T । ।