পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম্যাচ খেলার পর। ১৪৯ সুতরাং আমি আশা করি যে আমি যা তােমাদের বলব তা তােমরা মন দিয়ে শুনবে (“তা আমরা শুনব-ই” বলিয়া উচ্চ চীৎকার ধ্বনি), কারণ। আমি যথার্থ গম্ভীরভাবেই তােমাদের দু কথা বলতে চাই। তােমরা। আমার কথা শুনতে বাধ্য, কেননা আমি যা বলি তা যদি তােমরা নাগুন, তা হলে আমাকে গুরুজি প্রভৃতি বলার ফল কি? আমি তােমাদের সঙ্গে গম্ভীর ভাবে কথা বলতে চাচ্ছি, কেননা আমিও প্রাণে প্রাণে তদ্রুপই অনুভব করছি। আর এ বড় আনন্দের দিন, ষষমাহার শেষ হতে চলল, আর এই প্রথম দিনের খেলায়ই একটা গােনজিত (ভীষণ উল্লাসধ্বনি)। আর সেও কি যেমন তেমন বেলা? এই আট বৎসরের মধ্যে এমন কঠিন প্রচণ্ড থেলা আমি বেশী দেখেছি বলে মনে হয় না ( উন্মত্ত চীৎকার)। স্কুলওয়ালারাও সুন্দর খেলেছিল সে কথাও মানতে হবে, আর শেষ পর্যন্ত যুঝেছিল, তাদের ঐ যে শেষ ধাক্কা তাতে একটা ইমারত পর্যন্ত ঢুলিয়ে দিবার কথা, যখন ঐ ধাক্কা এই কাৰ বুড়াের। ঘাড়ে হুড়মুড় করে এসে পড়লাে, তখন তাকে যে আস্ত দেখতে পাব তা আর ভাবিনি (উচ্চহাস্য ও চীৎকারধ্বনি ও নিকটস্থ ছােকরাদের দ্বারা জোন্সের গুরুতররূপে পৃষ্ঠতাড়না)। যাই হক আমরা তাদের হারিয়েছি ( জয়ধ্বনি)। তা হারিয়েছি বটে, কিন্তু কেমন করে আমরা হারালাম সে কথার উত্তর দাও (“তােমার খেলার জোরে” বলিয়া চীৎকার ধ্বনি)। মহাভারত! হাওয়া আর সুরু-লাথির জন্যও নয়। আমাদের সমস্ত স্কুলের মধ্যে সকলের চেয়ে সরেস খেলােয়াড় জন কয়েক আছে তা ঠিক, কিন্তু তার জন্যেও নয়। আমি ওয়ার্কার, হেজ, কাব, আর ঐ বাচ্ছা, এই চারিজনকে ওদের দলের যে কোন ছজন খেলােয়াড়ের সঙ্গে অদল বদল করতে চাই না ( ভীষণ করতালি)। কিন্তু ছজন লােক সুঘণ্টা ধরে দুশ লােকের তাল সামলাতে পারে না। তবে আমরা ।। -