পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম্যাচ খেলার পর। ১৫৫ কিছু জান সব খুলিয়া লিখিও, অবশ্য সত্য লজঘন করিও না, আর তাহলে আমি বলিতেছি যে তুমি যা লিখিবে কোন গালিগালাজ না করিয়া তা আমি পড়িব। | বড়কের শেষ কয়টি কথা শ্রোতৃবর্গের মর্মস্থানে গিয়া আঘাত করিয়াছিল। তাহার বক্তৃতার অনেক অংশে সকলে তেমন উৎসাহ বােধ করে নাই। কিন্তু “ইংলণ্ডের সর্বোৎকৃষ্ট স্কুলের সর্বোৎকৃষ্ট বাড়ী” একথায় অবিচলিত থাকা তাহাদের সাধ্য হয় নাই এবং এমন কি শিকারী এবং পায়ী সম্প্রদায় ও আত্মবিস্মৃত ভাবে উল্লাসপূর্ণ আনন্দধ্বনিতে যােগ দিয়াছিল, এবং আশা করা যায় বড় ব্রুকের কথা স্মরণ রাখিয়া নূতন। প্রণালীতে জীবন যাপন করিবার সঙ্কল্পের মধ্যে উত্তীর্ণ হইয়াছিল । অবশ্য সঙ্কল্প যে ততদুর কাৰ্য্যে পরিণত হইয়াছিল এমন কথা বলা যায় না, তাহা পরে প্রকাশ পাইবে। . বড়কের এতাদৃশ খাতির না থাকিলে তাহার বক্তৃতার কোন কোন অংশ শ্রোতৃবর্গের মধ্যে তালাইত বলিয়া বােধ হয় না, বিশেষতঃ যে অংশে আচার্যের প্রসঙ্গ ছিল। প্রচলিত আচার এবং প্রথা, তা যতই কেন নিরর্থক এবং অকিঞ্চিৎকর হউক না, ইংরাজ স্কুলের ছাত্রগণ, অন্ততঃ আমাদের সময়ে যেমন ছিল, সে সমুদয়ের যেরূপ অন্ধ পক্ষাবলম্বী এমন আর কাহাকেও দেখা যায় না। যে ছাত্র স্কুল ছাড়িয়া গিয়াছে তাহাদের প্রত্যেককেই আমরা এক এক ধুরন্ধর বলিয়া বাড়াইয়া তুলিতাম, এবং তিনি যখন অক্সফোর্ড কিম্বা কেম্বি জের পথে এক আধ বৎসরের পর পুনরায় পূর্বস্থান সন্দর্শন করিতে আসিতেন, তখন আমরা বিস্ময় ভীতি মিশ্রিত সমুচ্চ সন্ত্ৰমের সহিত তাহাদিগকে অবলােকন করিতাম, এবং যে বালকের তাহাদের কথা জানা থাকিত সে নিজেকে ভাগ্যবান বলিয়া গণ্য করিত। কেননা সে যখন তাদৃশ মহাপুরুষের অতীত কার্যাবলী বর্ণনা । । ।