ম্যাচ খেলার পর। ১৫৭ উশৃঙ্খলতার অবস্থার মধ্যে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন এবং এযাবৎ দৃঢ় হতে আবশ্যকীয় শৃঙ্খলা স্থাপনের অপ্রীতিজনক কার্যে নিযুক্ত ছিলেন। সে যাহা হউক, যে কথা পুর্বে বলা হইয়াছে, বড় ব্রুকেরই জয় হইয়াছিল, এবং বালকগণ প্রথমে তাহাকে এবং পরে আচাৰ্য্যকে উচ্চ ধ্বনিতে অভিনন্দিত করিয়াছিল। তার পর আরও গীত হইল এবং অন্যান্য ছেলেরা যাহাদের স্কুল ত্যাগের সময় হইয়াছিল তাহাদেরও স্বাস্থ্য পান করা হইল এবং তাহারাও সকলেই এক একটা বক্তৃতা করিল, তার কোনটা নানা অলঙ্কারপূর্ণ, কোনটা অতিমাত্ৰ করুণরসাত্মক, কোনটা নিছক গদ্যময়, সে সকল কথা সবিস্তর লিপিবদ্ধ করিবার প্রয়ােজন দেখি । । | ‘অল্ড ল্যাঙ্গ সাইন’ ( অর্থাৎ “সেই সে সেকাল) বলিয়া গীতের মধ্যভাগে সাড়ে নয়টা বাজিল। সে এক মহা গগুলােগের ব্যাপার। গীতের সময় টেবিলে এক পা তুলিয়া বাড়ান, মগ ঠুকাঠুকি, হাত ঝাকাঝাকি ইত্যাদির অন্ত রহিল না। এই সমুদয়ের সঙ্গত না হইলে বুঝি এই পুরাতন প্রসিদ্ধ গীতের সুরসাধনা সম্ভবপর হয় না। গাহনা চলতির মধ্যে স্কুল বাড়ীর ছােট দারােয়ান গোটা পাঁচ ছয় লম্বা কাঠের বাতিদান লইয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল। বাতিদানে জ্বলন্ত বাতি। বড় টেবিল দুইটির গর্তে, যে অংশ সে নাগাল পাইল, বাতিদানগুলি বসাইয়া দিতে লাগিল। তার পর গান শেষ হওয়া পর্যন্ত সে চক্রের বাহিরে দাড়াইয়া রহিল। গান শেষ হইলে মহা হৈ চৈ করিয়া তাহার উপর ডাকাডাকি পড়িল। “বিল, বকেয়া বুড়ো, এখনও আধ ঘণ্টা বাজে নি,” “এই নাও বিল, খানিকটা ককটেল * খাও,” “বুড়ো একটা গান গাও না,” “মনে ভিত এবং শর্করা এতৃ িমিশ্রিত পানীয়। -
পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।